শুধুমাত্র ‘নোংরা ফিল্ম’ দেখার জন্য ইন্টারনেটের দরকার কাশ্মীরে, বেফাঁস মন্তব্য নীতি আয়োগের সদস্যের

শনিবার প্রশাসন জম্মু কাশ্মীরের কিছু অংশে আংশিক ভাবে পোস্ট পেইড সিমে ২ জি ইন্টারনেট ফেরানোর সিদ্ধান্ত নেয় । বর্তমানে উত্তর কাশ্মীরের বান্দিপোড়া ও কুপওয়ারা-তে গ্রাহকেরা এই পরিষেবা পাবেন। তবে ওই মোবাইল নেট থেকে কিছু নির্দিষ্ট ওয়েবসাইট দেখা যাবে। সোশ্যাল মিডিয়ার উপরে আগের মত নিষেধাজ্ঞা চালু থাকবে, চালু হবে প্রিপেইড মোবাইলে ভয়েস কল ও এসএমএস ব্যবস্থা রবিবার থেকে ।

এরপর নেট বন্ধ রাখার যুক্তি দিতে গিয়ে বেফাঁস মন্তব্য করে বসলেন নীতি আয়োগের এক সদস্য। শনিবার ওই মন্তব্য করেছেন নীতি আয়োগের সদস্য তথা জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়-এর আচার্য বিজয় কুমার সরস্বত। গুজরাতের গাঁধীনগরে ধীরুভাই অম্বানী ইনস্টিটিউট অব ইনফরমেশন অ্যান্ড কমিউনিকেশন টেকনলজি-র বার্ষিক সমাবর্তনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি জানিয়েছেন, কাশ্মীরে নেট পরিষেবা থাকা বা না থাকায় উপত্যকায় কোনও তফাৎ হয় না। তাঁর কথায়, ”ওখানে ইন্টারনেট না থাকলে কী এমন পার্থক্য হবে। আর তা ছাড়া, ইন্টারনেটে ওখানে কী দেখা হয়? ওখানে কি ই-টেলিং (ইন্টারনেটের মাধ্যমে জিনিসপত্র বেচা) হচ্ছে! ‘নোংরা ফিল্ম’ দেখা ছাড়া ওখানে আর কিছু করা হয়কি?”
এরপর তিনি আরও বলেন, “এই যত সব রাজনীতিকরা রয়েছেন, তাঁরা কিসের জন্য কাশ্মীরে যেতে চান? দিল্লির রাস্তায় যেমন আন্দোলন চলছে, সেটাই কাশ্মীরের রাস্তায় তুলে আনতে চান। আর সোশ্যাল মিডিয়াও রয়েছে তাকে আগুনের মতো ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য।”

এই বেফাঁস মন্তব্যের জন্য বিতর্ক এড়াতে সরস্বত দাবি করেছেন, উপত্যকায় মাস পাঁচেক ইন্টারনেট বন্ধ থাকলেও তাতে সেখানকার অর্থনীতির উপর কোনও রকম প্রভাব পড়েনি। নিজের মন্তব্যের ব্যাখ্যা করে তিনি বলেছেন, ”আমি এটাই বলতে চাই যে কাশ্মীরে ইন্টারনেট না থাকলেও তাতে সেখানকার অর্থনীতিতে কোনও প্রভাব পড়েনি।”

আরও পড়ুন-সিএএ-এনআরসি : বিক্ষোভকারীদের কম্বল,বাসন-খাবার কেড়ে নিল পুলিশ

Previous articleদলের হয়ে গলা ফাটাচ্ছেন? আগে জেনে নিন ডার্বির পরিসংখ্যান
Next article৪ দিনের দার্জিলিং সফরে মুখ্যমন্ত্রী, CAA-র বিরুদ্ধে পদযাত্রা, নেতাজি-স্মরণ