নির্ভয়াকাণ্ডের দৃষ্টান্ত তুলে ধরে ফাঁসির সাজায় আইনি সুযোগ কমানোর আর্জি নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে গেল কেন্দ্র

জঘন্য অপরাধের জন্য মৃত্যুদণ্ডের সাজাপ্রাপ্তদের আইনি সুযোগ কমানোর আর্জি নিয়ে এবার সুপ্রিম কোর্টে গেল কেন্দ্রীয় সরকার। এক্ষেত্রে আদালতের সামনে তুলে ধরা হয়েছে নির্ভয়াকাণ্ডের দৃষ্টান্ত, যেখানে গণধর্ষণে যুক্ত অপরাধীরা ফাঁসির সাজাকে বিলম্বিত করতে আইনি সুযোগের অপব্যবহার করছে। কেন্দ্রের যুক্তি, আইনের সুযোগ তৈরি করার সময় অপরাধের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষদেরই অগ্রাধিকার দেওয়া উচিত। না হলে আইনি সুযোগকে শাস্তি বিলম্বিত করার অপকৌশল হিসাবে ব্যবহার করা হতে পারে। তা কখনই কাম্য নয়। তাই ফাঁসির সাজাপ্রাপ্তদের আইনি সুযোগ নেওয়ার সময় বেঁধে দেওয়া উচিত।

প্রসঙ্গত, নির্ভয়াকাণ্ডের চার দোষী আলাদা আলাদা সময়ে পৃথকভাবে আদালতে রিভিউ পিটিশন, কিউরেটিভ পিটিশন বা রাষ্ট্রপতির ক্ষমাপ্রার্থনার আর্জি জানাচ্ছে। প্রতি ক্ষেত্রেই একটি আবেদন খারিজের পর সাজা কার্যকরের আগে নিয়মমত চোদ্দ দিন সময় দিতে হয়। যেহেতু চারজনের একইসঙ্গে সাজা কার্যকর হওয়ার কথা, তাই সবার সব সুযোগ শেষ না হলে ফাঁসি কার্যকর হওয়া সম্ভব নয়। আদালতের প্রথম নির্দেশে  22 জানুয়ারি ফাঁসি হওয়ার কথা ছিল। পরে তা পাল্টে 1 ফেব্রুয়ারি করা হলেও সেদিন তা কার্যকর করা নিয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে। কারণ চার দোষীর মধ্যে একমাত্র মুকেশের সব সুযোগ নেওয়া হয়ে গেলেও বাকি তিনজন অর্থাৎ বিনয়, পবন ও অক্ষয়ের এখনও কয়েকটি সুযোগ নেওয়া বাকি। যেমন কিউরেটিভ পিটিশন ও রাষ্ট্রপতির কাছে ক্ষমাভিক্ষা। সবকটি আর্জি খারিজ হয়ে যাবে ধরে নিয়েও মৃত্যুদণ্ডের ক্ষেত্রে সব সুযোগ দেওয়ার সংস্থান রেখেছে আদালত।

এই পরিস্থিতিতে সর্বোচ্চ আদালতের কাছে মৃত্যুদণ্ডের সাজায় চলতি নিয়ম পরিবর্তনের দাবি জানালো কেন্দ্র। কেন্দ্রের প্রস্তাব, আইনি সুযোগকে দেরির কৌশল হিসাবে যাতে অপরাধীরা ব্যবহার করতে না পারে সেজন্য সময়সীমা কমানো হোক। ফাঁসির ওয়ারেন্ট জারির পর দোষীদের কিউরেটিভ পিটিশনের জন্য সাতদিন ও রাষ্ট্রপতির ক্ষমাভিক্ষার জন্য সাতদিন বরাদ্দ করার পক্ষপাতী কেন্দ্র।

Previous articleকোটি কোটি এলআইসি গ্রাহকের আমানত ‘ঝুঁকির মুখে’ !
Next articleব্রেকফাস্ট স্পোর্টস