রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ক্রমেই বাড়ছে এইডস রোগীর সংখ্যা, উদ্বেগে বাংলাদেশ স্বাস্থ্যমন্ত্রক

বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাদের মাধ্যমে এইডস রোগীর সংখ্যা বাড়ছে বাংলাদেশে।এমনই দাবি করেছে বাংলাদেশের স্বাস্থ্যমন্ত্রক। চলতি বছরের জানুয়ারি মাস পর্যন্ত এইডস রোগীর সংখ্যা দশ হাজার ছাড়িয়েছে। মূলত রোহিঙ্গা ক্যাম্পে অবাধ যৌনতার ফলেই এই মারণ রোগ ছড়াচ্ছে বলে জানা গিয়েছে।এই রোগীরা বাইরে অবাধ চলাফেরা করায় এইডস দ্রুত ছড়িয়ে যাচ্ছে। এর ফলে সারা দেশের মানুষের জন্য মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকি আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।এদিকে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকেরা বলছেন, এইডসে সংক্রমিত ব্যক্তি শনাক্ত করাই এখন বড় চ্যালেঞ্জ। তাঁদের মতে, রোহিঙ্গাদের মধ্যে এর চেয়েও বেশি এইডস রোগী আছে।
জাতিসংঘের এইডস বিষয়ক সংস্থা ইউএনএইডসের মতে, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় এইডস ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলোর মধ্যে অন্যতম মায়ানমার। মায়ানমারের মোট জনসংখ্যার প্রাপ্তবয়স্কদের মধ্যে হাজারে আটজনই এইডস রোগে আক্রান্ত। এদের পরিবারের অধিকাংশের মধ্যেই রোগ সংক্রমিত হয়েছে। এর আগেও মায়ানমার থেকে বিভিন্ন সময়ে আসা রোহিঙ্গাদের মধ্যে এইডস রোগী পাওয়া গেছে।
বিদেশ মন্ত্রকের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, কক্সবাজারের রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবিরগুলিতে নতুন করে ৬০০ জনের শরীরে এইচআইভি সংক্রমণ ধরা পড়েছে, আর যক্ষ্মায় আক্রান্ত রোগী চিহ্নিত হয়েছে ৬ হাজার ৩৭২ জন। এইডস রোগীর যে সংখ্যাটি প্রকাশ্যে এসেছে, তারা সবাই রোহিঙ্গা ক্যাম্পে বসবাস করেন। অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভরতি হওয়ার পর তাঁদের শরীরে এইচআইভির উপস্থিতি ধরা পড়েছে। চিকিৎসা নিচ্ছেন না বা কোনও ডাক্তারি পরীক্ষা করা হয়নি এমন আক্রান্তের সংখ্যা আরও কয়েক গুণ বেশি।
আসলে এইচআইভি আক্রান্তদের ৫০ শতাংশ জানেনই না যে তাদের এই রোগ হয়েছে। যারা জানেন, তাদের এক-তৃতীয়াংশের বেশি চিকিৎসা নেন না। এ ছাড়া যক্ষ্মা রোগটিও ছড়াচ্ছে। দীর্ঘস্থায়ী ও জটিল চিকিৎসা পদ্ধতির মাধ্যমে এর থেকে মুক্ত হতে হয়। সঠিক চিকিৎসা পদ্ধতি গ্রহণ না করলে এটিও মারণ ব্যধিতে পরিণত হতে পারে।

Previous articleবিতর্ক ছড়াতেই সারজিলের থেকে দূরত্ব বাড়াল শাহিনবাগ
Next articleভারতীয় হিসেবে কী করেছেন আদনান? কণাদ দাশগুপ্তের কলম