বিতর্ক ছড়াতেই সারজিলের থেকে দূরত্ব বাড়াল শাহিনবাগ

উস্কানিমূলক, দেশবিরোধী মন্তব্যের জন্য গ্রেফতার শাহিনবাগে আন্দোলনের অন্যতম নেতা জেএনইউয়ের প্রাক্তন ছাত্র সারজিল ইমাম। আর এই পরিস্থিতিতে তাঁর সঙ্গে দূরত্ব বাড়াল শাহিনবাগ। নাগরিকত্ব আইনের বিরুদ্ধে প্রথম থেকেই সরব ছিলেন সারজিল। শাহিনবাগের ধর্না আন্দোলনে তিনিই ছিলেন অন্যতম প্রধান মুখ। সোশ্যাল মিডিয়ায় কিছুদিন আগেই সারজিল ইমামের একটা ভিডিও ছড়িয়ে পড়ে। ভিডিওতে দেখা যায় সারজিল বলছেন, “অসমে মুসলিম ও বাঙালিদের মারা হচ্ছে। ধীরে ধীরে সব বাংলাভাষীকেই মারা হবে।” অসমকে ভারত থেকে বিচ্ছিন্ন করার কথাও বলেন তিনি। মণিপুর, অরুণাচল প্রদেশকেও বিচ্ছিন্ন করার নিদান দেন ওই ছাত্র নেতা। এই সারজিলের বিতর্কিত ভিডিও ভাইরাল হওয়ার পরেই তাঁর থেকে দূরত্ব বাড়ান শাহিনবাগের আন্দোলনকারীরা। গ্রেফতারের পরেই একটি বিবৃতি দিয়ে তাঁরা জানান, “নাগরিকত্ব আইনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়ে শাহিনবাগে আন্দোলন চলছে। ৪৩ দিনে পড়েছে এই আন্দোলন। সুতরাং এই আন্দোলনকে কোনও একজন সারজিল ইমাম বা একার আন্দোলন বলা যাবে না।”

এদিকে, সারজিলের বিতর্কিত ভিডিও ছড়িয়ে পড়তেই তাঁর বিরুদ্ধে দেশদ্রোহিতার অভিযোগে মামলা দায়ের করে অসম সরকার। এফআইআর করে দিল্লি পুলিশও। মামলা হওয়ার পর থেকেই গা ঢাকা দিয়েছিলেন সারজিল। পাঁচটি দলে ভাগ হয়ে মুম্বই, পাটনা ও দিল্লিতে তল্লাশি চালায় পুলিশ। অবশেষে বিহারের জেহানাবাদের বাড়ি থেকে প্রথমে সারজিলের ছোটোভাইকে তুলে নিয়ে গিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। এরপরেই এই নেতার হদিস পাওয়া যায়। জেহানাবাদ থেকেই সারজিলকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

আরও পড়ুন-দেশদ্রোহের অভিযোগে গ্রেফতার সারজিল ইমাম

Previous articleশাহিনবাগের বিক্ষোভকারীদের ধর্ষক ও খুনি বললেন বিজেপি সাংসদ
Next articleরোহিঙ্গা ক্যাম্পে ক্রমেই বাড়ছে এইডস রোগীর সংখ্যা, উদ্বেগে বাংলাদেশ স্বাস্থ্যমন্ত্রক