ব্রেক্সিট যুগ শুরু, ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে বেরিয়ে গেল ব্রিটেন

বৃহস্পতিবার মধ্যরাতের পর থেকে ইউরোপে শুরু হল ব্রেক্সিট যুগ। ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে ব্রিটেনের প্রস্থান অর্থাৎ ব্রেক্সিট সম্পন্ন হল। আজ থেকে আর ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদস্য নয় ব্রিটেন। ইউরোপীয় পার্লামেন্টের সদস্যপদ ছেড়ে দিলেন ব্রিটেনের প্রতিনিধিরা। ইউরোপীয় ইউনিয়নের নিয়মকানুন আজ থেকে আর প্রযোজ্য হবে না ব্রিটেনে। ব্রিটেন বেরিয়ে যাওয়ায় এখন ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদস্যসংখ্যা হল 27।

ব্রেক্সিটের পর ব্রিটেনের কতটা লাভ হল বা ইউরোপীয় ইউনিয়নের কতটা ক্ষতি হল সেই ছবিটা স্পষ্ট হতে এখনও অনেকটা সময় লাগবে। তবে বলাই যায়, ব্রিটেনের মত উন্নত দেশকে হারিয়ে কিছুটা বিবর্ণ হল ইউরোপীয় ইউনিয়ন, আন্তর্জাতিক স্তরে গুরুত্বও কমল। পাশাপাশি ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পর গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন আসবে ব্রিটেনের অভিবাসী নীতি ও অর্থনীতিতে। এতদিন পর্যন্ত ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদস্য রাষ্ট্রগুলির নাগরিকরা অবাধে ব্রিটেনে থাকতে ও কাজ করতে পারতেন। কিন্তু এবার থেকে আর তা হবে না। অন্য দেশের ভিসা নীতি ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদস্য দেশের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য হবে। ইউরোপীয় ইউনিয়নের মুদ্রা বা ইউরো চলবে না। ব্রিটেনের পাসপোর্টের রঙও বদলাবে। এছাড়া অন্য দেশের সঙ্গে ব্যবসা-বাণিজ্য চুক্তি করতে ব্রিটেনকে আর ইউরোপীয় ইউনিয়নের অনুমতি নিতে হবে না। এর ফলে আমেরিকা ও অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে অবাধে ব্রিটেনের বাণিজ্য করার পথ খুলে গেল। ব্রেক্সিটের কিছু কিছু অসুবিধাও অবশ্য আছে। যেমন, প্রত্যর্পণ চুক্তি সম্পর্কিত। এখন কোনও অপরাধী যদি অপরাধ করে ব্রিটেন থেকে পালিয়ে জার্মানিতে আশ্রয় নেয় তাহলে তাকে ব্রিটেনে প্রত্যর্পণ করবে না জার্মানি। কারণ ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদস্য দেশের সঙ্গেই শুধু প্রত্যর্পণ চুক্তি আছে জার্মানির। তবে ভাল-মন্দ মিলিয়ে ব্রেক্সিট উত্তর-পর্বে প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের নেতৃত্বে ব্রিটেনের অগ্রগতি কেমন হয় সেটাই দেখার।

Previous articleভারতের কম রানের টার্গেট, জয়ের হাতছানি নিউজিল্যান্ডের
Next articleছাত্রী নিগ্রহে দিলীপের বিরুদ্ধে এফআইআর