শীঘ্রই চালু হচ্ছে জাতীয় শিক্ষানীতি। শনিবার কেন্দ্রীয় বাজেটে এই ঘোষণা করেন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন। তবে জাতীয় শিক্ষানীতি নিয়ে ভিন্ন মত ছাত্র সংগঠনগুলির। প্রাথমিক শিক্ষাকে গুরুত্ব না দিয়ে এটিকে বেসরকারিকরণের চেষ্টা বলে মত অনেকের। অনেকের মতে আবার, এই শিক্ষানীতির ফলে চাকরিমুখী হতে পারবে ছাত্ররা।

জাতীয় শিক্ষানীতি সম্পর্কে এসএফআই রাজ্য সম্পাদক সৃজন ভট্টাচার্য বলেন, ‘নির্মলা সীতারমনরা যা বলছেন তাতে শিক্ষা ব্যবস্থা কর্পোরেটদের হাতে তুলে দেওয়ার ষড়যন্ত্র। খসড়াতে যা উল্লেখ করা হয়েছে, তা বাস্তবায়িত করতে গেলে যে পরিকাঠামো দরকার তা নেই এই দেশে।’ তাঁর মতে, এদেশে পড়ুয়াদের দরকার খাতা, বই, বেঞ্চ আর টয়লেট। তা না করে অনলাইন শিক্ষা ব্যবস্থা চালু হলে কর্পোরেটদের রমরমা বাড়বে।
এবিভিপি-র রাজ্য সম্পাদক সপ্তর্ষি সরকারের বক্তব্য, ‘নয়া শিক্ষানীতিতে উপকৃত হবে ছাত্ররা। খসড়াতে উল্লেখ আছে প্রাথমিক পর্যায় থেকে চাকরিমুখী করা হবে। যাতে তাদের সমস্যা না হয়। তাই অনলাইন কোর্স আর স্কিল ডেভেলপমেন্টের ওপর জোর দেওয়া হয়েছে।’

ছাত্র পরিষদের প্রাক্তন সভাপতি আশুতোষ চট্টোপাধ্যায়ের কথায়, ‘শিক্ষানীতি তো ছাত্রদের জন্য। তাঁরা ক্যাম্পাসে মার খাচ্ছে। লাঠি দিয়ে মারা হচ্ছে। ছাত্রদের লক্ষ্য করে গুলি চালানো হচ্ছে। কার জন্য শিক্ষা?’ তিনি কটাক্ষ করে বলেন, যাঁরা শিক্ষানীতি চালু করতে চাইছেন, তাঁদেরই আগে শিক্ষিত হওয়া প্রয়োজন।

আরও পড়ুন-KMC vote 85: তিনি “না” বলেন না, তাই মানুষও “না” বলে না দেবাশিসকে
