নাইট রাইডার্স আর সেন্ট জেভিয়ার্স হলে আলাদা কথা ! অপূর্ব !! কুণাল ঘোষের কলম

কুণাল ঘোষ

একটি স্পর্শকাতর বিষয়। দয়া করে একটু পড়বেন এবং ভাববেন।

সংবাদে প্রকাশ: রোজভ্যালি থেকে যারা টাকা পেয়েছে, তা ফেরত নিতে তদন্তকারী সংস্থা যাদের ক্ষেত্রে ব্যবস্থা নিয়েছে, তার মধ্যে কলকাতা নাইট রাইডার্স আছে। আছে সেন্ট জেভিয়ার্স কলেজের মত শীর্ষ বিদ্যাপ্রতিষ্ঠান। কাল টিভিতে প্রচারিত। আজ আনন্দবাজার পত্রিকাতেও রয়েছে।

কই, সোশ্যাল মিডিয়ায় ঝড় দেখলাম না তো?
সারদার ক্ষেত্রেও একাধিক বড় ক্লাবের নাম ছিল।
ফেস বুকে ঝড় ওঠে নি তো।

যদি এখানে কুণাল ঘোষের নাম থাকত বা থাকে, তখন একশ্রেণীর বীরপুঙ্গব নেমে পড়বেন ফেস বুক বিপ্লবে।

কেন এই বৈষম্য?

কেন আজ বহু মিডিয়া খবরটি করল না?
ভগবান ছাড়া কাউকে নাকি যারা ভয় পায় না, তারাও নাইট রাইডার্স আর সেন্ট জেভিয়ার্সের নাম লিখল না। অথচ আমার নামে খবর হলে সেটা বাদ যায় না।

কলকাতা নাইট রাইডার্স বা সেন্ট জেভিয়ার্স কলেজ এত ভারি নাম যে সেখানে সমালোচনায় আঙুল কাঁপে।

আর কুণাল ঘোষ সৌজন্য দেখিয়ে সোশাল মিডিয়ায় থাকে বলে যা ইচ্ছে লেখা যায়?

সেন্ট জেভিয়ার্স সেরা প্রতিষ্ঠান। এই ঘটনায় কি তার শ্রেষ্ঠত্ব যাবে? কখনই না।
নাইট রাইডার্স উঠে যাবে? কখনই না। বড় ক্লাবগুলো বন্ধ হয়ে গেছে? না।
তাহলে?

কেন, কোন্ পরিস্থিতিতে কী হয়েছে, সেসব না দেখেই এত বিশেষণ? এত জ্ঞানবিতরণ?

যে কাগজ আপনি সকালে পড়েন, যে নিউজ চ্যানেল দেখেন, তারা চিট ফান্ড থেকে কত পেয়েছে, কোনো দিন একটা চিঠি লিখে জানতে চেয়েছেন?

আমি প্রথম দিন থেকে যা বলে আসছি, আজও তাই বলি।

আমি সারদা থেকে টাকা পেয়েছি। বেতন ও বিজ্ঞাপনবাবদ। নিয়োগপত্র পেয়ে সারদার মিডিয়া শাখায় কাজ করেছি। পুরো আয়কর দিয়েছি। আমি জ্ঞানত অন্যায় করি নি। আমি আইনে লড়াই করছি। আমার বিরুদ্ধে যা হয়েছে বা হবে, আমি আদালতে চ্যালেঞ্জ করেছি এবং করব।

কিন্তু আপনাদের বিবেচনায় বৈষম্য থাকবে কেন?

‘বর্তমান’ কাগজ আজ নাইট রাইডার্স আর সেন্ট জেভিয়ার্সের নাম লিখল না, এধরণের বিতর্কে আমার নাম লেখে কেন?

দয়া করে ভেবে দেখবেন।

কখনও কোনোদিন একজন এজেন্ট বা লগ্নিকারীকে বলিনি সারদায় টাকা রাখুন। অনেকে যেমন টাকা রেখে সমস্যায়, আমি বা আমরা অনেকেই চাকরি করে বিপর্যস্ত।

দেখুন, তদন্ত প্রক্রিয়ায় বড় নাম এলে ফেস বুক ঘুমোবে আর কিছু ক্ষেত্রে বিপ্লবী হবে, এটা চলতে পারে না। কয়েকজন গ্রেপ্তার, কয়েকজন ছাড়, প্রশ্ন উঠবেই। কেউ জেলে আর কারুর ক্ষেত্রে শুধু টাকা ফেরত, আইনের দুই মুখ চলতে পারে না।

আমি আইনে চ্যালেঞ্জ করেছি, আগামী দিনেও প্রয়োজনে আদালতে যাব। কিন্তু আপনাদের দৃষ্টিভঙ্গিতে বৈষম্য যাতে না থাকে, সেই অনুরোধটা তো আপনাদের করতেই পারি।

Previous articleকরোনা মোকাবিলায় বিশেষ ব্যবস্থা বিমানবন্দরে
Next articleবিজেপির দিল্লি-রেকর্ড খুব খারাপ,কণাদ দাশগুপ্তের কলম