কর্মস্থলে করোনা আতঙ্কে, ফেরা নিয়ে অনিশ্চয়তায় কাটছে দিন

কর্মস্থলে ফেরা নিয়ে অনিশ্চয়তার মেঘ। গবেষণা সম্পূর্ণ করার তাগিদে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে করোনাভাইরাসের আতঙ্ক। কর্মস্থলে ফিরলেও আপাতত থাকতে হবে গৃহবন্দি হয়ে। তাই চরম দুশ্চিন্তায় হুগলির চণ্ডীতলার গবেষক অর্পণ বন্দ্যোপাধ্যায়। গত ৬মাস ধরে চিনের সাংহাই-এর জুহুই এলাকায় জৈব রসায়ন নিয়ে গবেষণা করছেন তিনি। এর আগে মুম্বই আইআইটি-তে ৭ বছর গবেষণার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। মাস ছয়েক আগে পাকাপাকি ভাবে পরিবার নিয়ে সাংহাই পাড়ি দেন অর্পণ। ২৮ জানুয়ারি চিনা নববর্ষের ছুটিতে স্ত্রী তুলিকাকে নিয়ে চণ্ডীতলার বরিজহাটির বাড়িতে ফিরে আসেন। তারপরেই নোভেল করোনাভাইরাস নিয়ে চিন উত্তাল হয়ে ওঠে। দেশ জুড়ে জারি করে দেওয়া হয়েছে রেড অ্যালার্ট। ভাইরাস নিয়ে চরম সতর্কতা বিশ্ব জুড়ে।

চলতি মাসের ১৭ তারিখে অর্পণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের চিনে ফিরে যাওয়ার কথা। আগে থেকেই প্লেনের টিকিটও কেটে রেখেছিলেন। সম্প্রতি নোভেল করোনার বিষয়ে জেনে যথেষ্টই আতঙ্কিত বন্দ্যোপাধ্যায় পরিবার। বর্তমান পরিস্থিতিতে ছেলে-ছেলের বৌ আরও কিছুদিন বাড়িতেই থাকুন চাইছেন সমরেন্দ্র নাথ বন্দ্যোপাধ্যায়।
আদৌ ওই দিন ফিরতে পারবেন কি না তা নিয়ে অনিশ্চয়তা সৃষ্টি হয়েছে। চরম দুশ্চিন্তায় রয়েছেন গবেষক। এদিকে আগামি ১৪ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত চিনে যাওয়ার সমস্ত বিমান বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। অর্পণ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, হুবেই প্রদেশের উহানে এলাকায় আক্রান্তের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি। সাংহাইতেও যথেষ্টই ছড়িয়েছে করোনাভাইরাস। এদিকে এখনও পর্যন্ত ওই রোগের কোনও ওষুধ আবিষ্কার হয়নি। চিনে চলে গেলেও এখনই কর্মস্থলে যেতে পারবেন কি না তা নিয়েও যথেষ্ঠ চিন্তা রয়েছে অর্পণের।

Previous articleপুরভোটের আগে “ঘরে” ফিরছেন শোভন? পার্থর বাড়ি গিয়ে কী বললেন বৈশাখী?
Next articleহেগড়ে ‘রাবণের সন্তান’: কটাক্ষ অধীরের