নির্ভয়াকাণ্ড: ফাঁসি একসঙ্গেই, ১ সপ্তাহের মধ্যেই মেটাতে হবে আইনি প্রক্রিয়া, নির্দেশ আদালতের

এক সপ্তাহের মধ্যে আইনি প্রক্রিয়া শেষ করতে হবে। মৃত্যুদণ্ড থেকে বাঁচতে যা যা আইনি পদক্ষেপ নেওয়ার তা নিতে হবে এক সপ্তাহের মধ্যেই। নির্ভয়াকাণ্ডে দীর্ঘসূত্রিতা নিয়ে বুধবার এই রায় দিল দিল্লি আদালত। নির্ভয়া গণধর্ষণ-খুনে সুপ্রিম কোর্ট ৪ দোষীর প্রাণদণ্ডের নির্দেশ দেয়। ফাঁসি কার্যকর করতে রায় দেয় দিল্লির পাতিয়ালা হাউজ কোর্ট। এরপর ২২ জানুয়ারি ফাঁসির দিন ধার্য হয়। কিন্তু একই সঙ্গে ১৪ দিনের সময় দেওয়া হয় ফাঁসি কার্যকর করতে এবং তার মধ্যে যে কোনো রকম আইনি পদক্ষেপের সুবিধা দেওয়া হয় আসামীদের। আর এরই জেরে ক্রমেই আইনের ফাঁক গলে সাজা কার্যকর করার দিন পিছিয়ে যায়। ২২ জানুয়ারির পরে পয়লা ফেব্রুয়ারি দিন ধার্য হলেও, সেদিনও ফাঁসি কার্যকর করা যায়নি। উলটে অনির্দিষ্টকালের জন্য ফাঁসি পিছিয়ে দেওয়া হয়।
এই অবস্থায় বিচার ব্যবস্থার প্রতি চরম ক্ষোভ প্রকাশ করেন নির্ভয়ার মা আশাদেবী। নেটিজেনদের একাংশ এই মৃত্যুদণ্ড কার্যকর না হওয়ার প্রক্রিয়াকে সমালোচনা করেন। এই পরিস্থিতিতে প্রশ্ন ওঠে ৪ দোষীর মধ্যে যেহেতু মুকেশ সিংয়ের সামনে বাঁচার আর কোনও রাস্তা খোলা নেই, সেই কারণে তাঁকে আলাদাভাবে ফাঁসি দেওয়া যায় কি না সে বিষয়ে আদালতে আবেদন করা হয়। সেই মামলার শুনানি ছিল বুধবার। কিন্তু আদালত জানিয়ে দিয়েছে, যেহেতু একই সঙ্গে তারা দোষ করেছিল এবং একই সঙ্গে সাজা ঘোষণা হয়েছে সেই কারণে সাজা কার্যকরও হবে এক সঙ্গেই। কিন্তু ১৪ দিনের সময়সীমাকে হাতিয়ার করে ক্রমেই আদালতের এবং রাষ্ট্রপতির দ্বারস্থ হয়ে সময় বাড়িয়ে নিচ্ছে দণ্ডিতরা। এই ঘটনায় ৭ দিনের মধ্যে সমস্ত আইনি প্রক্রিয়া শেষ করে নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে আদালত। তবে এদিনও ফাঁসির দিন ঘোষণা করা হয়নি।