“শোভনবাবুকে মানুষ যে কতটা ভালবাসে, এই ঘটনা সেটার প্রভাব। ভাল লাগছে এটা দেখে। দল বুঝি না, কিন্তু পোস্টার লাগানোর ক্ষেত্রে তো কোনও না কোনও কর্মী থাকেন, নেতারা তো পোস্টার লাগান না, সুতরাং কর্মীদের কাছে এখনও যে উনি আস্থাভাজন, সেটাই বড় প্রাপ্তি শোভনের।
যাঁরাই করে থাকুন না কেন, তাঁরা শোভনকে সক্রিয় রাজনীতিতে দেখতে চান’’। গোটা দক্ষিণ কলকাতাজুড়ে পদ্ম প্রতীকে প্রাক্তন মেয়র তথা প্রাক্তন মন্ত্রী শোভন চট্টোপাধ্যায়ের সমর্থনে পোস্টার পড়ার পর এমনই প্রতিক্রিয়া দিলেন তাঁর বিশেষ বান্ধবী অধ্যাপিকা বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়।
এখানেই শেষ নয়, এই ঘটনায় বৈশাখীদেবী এতটাই আপ্লুত যে, রাস্তায় বেরিয়ে শোভনের নামে পোস্টার দেখতে চান। তাঁর কথায়, “নিজে এখনও রাস্তায় বেরিয়ে শোভনের পোস্টার দেখিনি। রাস্তায় বেরিয়ে দেখব পোস্টার। মোবাইলে ছবিতে দেখলাম। একসময়ের ওর হোয়াটস অ্যাপের ডিপি-র ছবিটা ব্যবহার করা হয়েছে এই পোস্টারগুলিতে”।
তিনিবআরও বললেন, ‘‘কলকাতার মেয়র হিসেবে শোভনবাবুর জনপ্রিয়তা আমি আজও অনুভব করি। লোকে এখনও ওনাকে মেয়রসাহেব বলেও ডাকেন। উনি তখন সন্ন্যাসী রাজার মতো বলেন যে আমি আর মেয়র নই, মেয়র হতে চাই না। কিন্তু ওনার ছবি মানুষের মনে অমলিন হয়ে রয়েছে”।
পুরভোটে কি বিজেপির হয়েই লড়ছেন, বিজেপির মেয়র পদপ্রার্থী হচ্ছেন শোভন? জবাবে বৈশাখী বললেন, “এমন কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে কিনা জানি না। তবে বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের সঙ্গে যোগাযোগ রয়েছে, কথা হয় বলেও জানি। তৃণমূলের লোকজনের সঙ্গেও কথা হয় বলে শুনেছি। তবে কোনও দলীয় রাজনীতি নিয়ে কথা হয় না, এটুকু বলতে পারি। এই ঘটনায় আর একটা কথা খুব মনে হচ্ছে, জননেতাকে কোনও সংকীর্ণ রাজনীতি শেষ করতে পারে না।”