রাজ্যস্তরের ভোটে বিজেপিকে মোদি-শাহর উপর নির্ভরতা কমানোর পরামর্শ দিল আরএসএস

দিল্লি বিধানসভা ভোটের ফলাফল বিশ্লেষণের পর স্থানীয় ভোটে বিজেপিকে মোদি-শাহ নির্ভরতা কমিয়ে স্বাবলম্বী হওয়ার বার্তা দিল রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘ। সংগঠনকে মজবুত করতে স্থানীয় নেতাদের আরও সক্রিয় হওয়ার পরামর্শ দিয়েছে বিজেপির চালিকাশক্তি আরএসএস। নিজেদের সম্পাদকীয়তে দিল্লি ভোটের ফল বিশ্লেষণ করে আরএসএস বলেছে, সবসময় প্রধানমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর মুখাপেক্ষী থাকা ঠিক নয়। বরং নিজেদের উদ্যোগে ধারাবাহিকভাবে রাজ্য নেতাদের তৃণমূল স্তরে সংগঠন বাড়ানোর কাজ করতে হবে। তা না হলে শুধু ভোটের আগে তৎপরতা দেখিয়ে লাভ হবে না, সাধারণ মানুষ কী চায়, কোন কোন ইস্যু গুরুত্বপূর্ণ তা সঠিকভাবে বোঝাও সম্ভব হবে না। লাগাতার জনসংযোগ, স্থানীয় নেতাদের সক্রিয়তা ও নিচুতলায় সংগঠন বিস্তার ছাড়া যে প্রত্যাশিত ফল আসে না তা উল্লেখ করে বিজেপি নেতৃত্বকে দিল্লি ভোটের ফল থেকে শিক্ষা নিতে বলেছে আরএসএস। সাংগঠনিক সংস্কারের পরামর্শও দেওয়া হয়েছে। দিল্লি ভোটের ফল পর্যালোচনা করে সঙ্ঘ বলেছে, সবসময় নরেন্দ্র মোদি, অমিত শাহ সাহায্য করতে পারবেন না। দিল্লিতে ২০১৫ সালের ভোট থেকে শিক্ষা নিয়ে তৃণমূল স্তরে সংগঠন বাড়ায়নি বিজেপি। এর সঙ্গে ২০২০-র ভোট প্রচারে মানুষের মনে সেভাবে দাগ কাটতে পারেনি গেরুয়া শিবির। দুই ক্ষেত্রেই ব্যর্থতার খেসারত দিতে হয়েছে বিজেপিকে। স্থানীয় স্তরের সমস্যা না বুঝে তা সমাধানের কথা না বলে ভোটারদের সঙ্গে সংযোগ স্থাপনে ব্যর্থ হয়েছে দল। দিল্লির ভোটে বিজেপির ইস্তাহারে অসংগঠিত ১৭০০ কলোনিকে আইনি স্বীকৃতি দেওয়ার কথা থাকলেও সাংগঠনিক দুর্বলতার জন্য সেই বার্তা ভোটারের কাছে পৌঁছয়নি বলে মনে করছে সঙ্ঘ। সঠিক ইস্যু ভোটারের কাছে তুলে ধরতে না পারাকেও তাই হারের কারণ বলে মনে করে আরএসএস।

আরও পড়ুন-মাঝরাতে ঢাকার শহিদ মিনারে বাঙালি জাতির হয়ে শ্রদ্ধা নিবেদনে শেখ হাসিনা

Previous articleজুটমিল বন্ধের জেরে বিক্ষোভ শ্যামনগরে
Next articleদুদিনের বৈঠক নিষ্ফলা, আজও শাহিনবাগে যাচ্ছেন মধ্যস্থতাকারীরা