সেমি ফাইনালে ফিরতে মরিয়া অভিমন্যু, পাশে আকাশদীপ

কর্নাটকের বিরুদ্ধে রঞ্জি ট্রফির সেমি ফাইনালে ফিরতে তৎপর হয়ে উঠেছে অভিমন্যু ঈশ্বরন। বুধবার নিজের তাগিদে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় সল্টলেক ক্যাম্পাসের মাঠে অনুশীলন করেন বাংলার অধিনায়ক। তাঁকে সঙ্গ দেন আকাশদীপ, তিনি সদ্য চোট সারিয়ে ফিরে আসেন। ফিজিক্যাল ট্রেনারের সঙ্গে জিমে সময় কাটান অভিমন্যু। দুপুরে চলে যান মাঠে। তাঁদের যে পিচ দেওয়া হয়েছিল, তা একেবারে সবুজ। তরুণ পেসার একে একে ইয়র্কার, বাউন্সার, ইনসুইং, লেগকাটার ঝালিয়ে নিচ্ছিলেন।
পিচ একটু ভেজা ছিল, তারজন্য সময় নষ্ট করেননি অভিমন্যু। পাশের একটি নেটে কংক্রিটের উপরে বিছিয়ে দেওয়া ছিল ম্যাট। সেখানে অনুশীলন করছিলেন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই ছাত্র। তাঁদের অনুরোধ করেন, ম্যাটে প্রস্তুতি নেওয়ার সুযোগ দিতে। বাংলার অধিনায়কের অনুরোধ ফেলতে পারেননি দুই ছাত্র। কংক্রিটে বিছানো ম্যাটের উপরেই শুরু হয় তাঁর প্রস্তুতি।
প্র্যাক্টিস শেষে অধিনায়ক বলছিলেন, ‘‘ইডেনে গতিময় পিচ পাব। এখানেও তাই সবুজ পিচে ব্যাট করি। পরের দিকে অসমান বাউন্স হচ্ছিল। তাই ম্যাটে প্রস্তুতি নিয়েছি।’’ যোগ করেন, ‘‘ম্যাটে বলের গতি একটু বেড়ে যায়। কিন্তু বাউন্স অসমান হয় না।’’
আকাশদীপের বোলিং দেখে আশা করাই যায়, ইডেনে কর্নাটকের বিরুদ্ধে তিনি অনায়াসে ফিরতে পারবেন। ২৩ বছর বয়সী পেসার প্রচণ্ড আত্মবিশ্বাসী। বিপক্ষে কে এল রাহুল, মণীশ পাণ্ডে, করুণ নায়ারের মতো ব্যাটসম্যানদের নাম শুনে অনেকেই চাপে পড়ে যেতে পারেন। কিন্তু আকাশের হুঙ্কার, ‘‘ভাল বল করলে যে কোনও ব্যাটসম্যানই আউট হবে। সে রাহুলই হোক আর পাণ্ডে।

বাংলার ম্যাচে মাঠ ভরানোর জন্য বিভিন্ন ক্লাব, কোচিং ক্যাম্প ও জেলার ক্রিকেটারদের খেলা দেখতে আসার আবেদন করেছে সিএবি। এমনকী বাংলার জার্সি পরেও মাঠে আসতে দেখা যেতে পারে তাঁদের। সমর্থকদের জন্য প্রত্যেকটি গ্যালারি খোলা থাকবে। বিনামূল্যেই খেলা দেখতে পাবেন প্রত্যেকে।

আরও পড়ুন-সময়ের আগেই বকেয়া মিটিয়ে ঘরে-বাইরে সাফল্য বাগানের

Previous articleসময়ের আগেই বকেয়া মিটিয়ে ঘরে-বাইরে সাফল্য বাগানের
Next articleবিচারপতির বদলি প্রসঙ্গে কী বললেন অধীর?