Thursday, August 28, 2025

কলকাতা পুরসভার মেয়রের সরকারি ঘরেই প্রকাশ্যেই রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড! সরকারি দফতরকে দলীয় দফতর বানানোর অভিযোগে বিরোধীদের তীব্র সমালোচনার মুখে তৃণমূল৷ শনিবার এক বাম মহিলা-কাউন্সিলর দলবদলে যোগ দিয়েছেন তৃণমূলে। এই দলবদল পর্বটি হয়েছে পুরসভায় মেয়র ফিরহাদ হাকিমের ঘরে, তাঁর উপস্থিতিতেই৷ প্রশ্ন উঠেছে, প্রশাসনিক দফতরে এই কর্মসূচির আয়োজন কেন করা হলো?

কলকাতা ৪১ নম্বর ওয়ার্ডের বাম কাউন্সিলর রীতা চৌধুরি শনিবার দলবদল করে তৃণমূলে যোগ দেন। দুপুরে ফিরহাদ হাকিমের উপস্থিতিতে মেয়রের ঘরেই রীতার হাতে তৃণমূলের পতাকা তুলে দেওয়া হয়। সেই সময় মেয়রের ঘরে উপস্থিত ছিলেন তৃণমূল সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়, পুরসভার চেয়ারপার্সন মালা রায়, বিধায়ক স্মিতা বক্সি, মেয়র পারিষদ দেবাশিস কুমার-সহ অনেকে। এই ঘটনার পরই পুরসভার বিরোধী দলনেত্রী রত্না রায় মজুমদার বলেন, ‘‘পুর ভবনের মেয়রের ঘরে বসে দলবদলের কাজ হল। পুরভবন কোনও দলের কার্যালয় নয়। ঐতিহ্যবাহী এই প্রতিষ্ঠানের সম্মানহানি করেছে তৃণমূল। এটা ঠিক হয়নি। আমরা এর তীব্র বিরোধিতা করছি।’’
ওদিকে, এই কাজে প্রশ্ন তোলার মতো কিছু দেখছেন না মেয়র ফিরহাদ হাকিম। তিনি বলেছেন, “মেয়রের টেবিলে হয়নি। ঘরের একটা পাশে হয়েছে। এ নিয়ে বিতর্কের কিছু নেই।’’ বিরোধীরা মেয়রের এই যুক্তি মানতে নারাজ। সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী বলছেন, ‘‘এ রাজ্যে আইনকানুন কিছুই নেই। নবান্নে বসে তৃণমূলের প্রোগ্রাম ঘোষণা করা হয়। মুখ্যমন্ত্রী প্রশাসনিক বৈঠকের নামে দলীয় বৈঠক করেন। মেয়র তাঁর ঘরের ভিতর তৃণমূলের পতাকা জড়ো করে রেখেছেন। যাঁকে যখন মনে হচ্ছে, তৃণমূলের পতাকা দিয়ে দিচ্ছেন। অথবা কারও পতাকা কেড়ে নিচ্ছেন। বেনিয়মের নিয়ম চলছে রাজ্যে। এটা বেআইনি কাজ।’’ কংগ্রেস কাউন্সিলর প্রকাশ উপাধ্যায় বলছেন, ‘‘মেয়র সবসময় রাজনীতির ঊর্ধ্বে। পুরসভার মধ্যে মেয়রের ঘরে রাজনৈতিক কাজ হবে কেন? কাজটা ঠিক হয়নি। খুবই খারাপ হয়েছে।’’ বিষয়টি নিয়ে রীতাদেবী অবশ্য কোনও মন্তব্য করেননি।

Related articles

আজ তৃণমূল ছাত্র পরিষদের প্রতিষ্ঠা দিবসে মেগা সমাবেশ, শহরে ঢল পড়ুয়াদের

বৃহস্পতিবার সকাল থেকে মহানগরীর রাস্তায় ছাত্র-ছাত্রীদের ভিড়, সকলের গন্তব্য গান্ধী মূর্তির পাদদেশ। আজ তৃণমূল ছাত্র পরিষদের (TMCP) প্রতিষ্ঠা...

সাত লুকের ‘বহুরূপ’ সোহমের, চ্যালেঞ্জ নিয়ে চমকে দিলেন অভিনেতা

যা কখনও হয়নি তা এখন হবে, এবার হবে। সেলিব্রেটিদের রিল - রিয়েলের আলাদা রূপ আর লুক নিয়ে কম...

উন্মুক্ত শৌচমুক্ত ৯৪ পুরসভা, স্বচ্ছতার শংসাপত্র বাংলাকে

শহরাঞ্চলে আর খোলা শৌচের দৃশ্য নেই। পুরসভাগুলির উদ্যোগ এবং পুর দফতরের তদারকিতে উন্মুক্ত শৌচমুক্ত হয়েছে কলকাতা সহ রাজ্যের...

ফাঁকা কেন্দ্রগুলিতে দ্রুত ইআরও–এইআরও নিয়োগের নির্দেশ কমিশনের 

ফাঁকা পড়ে থাকা একাধিক বিধানসভা কেন্দ্রে দ্রুত ইলেক্টোরাল রেজিস্ট্রেশন আধিকারিক (ইআরও) এবং অ্যাসিসটেন্ট ইলেক্টোরাল রেজিস্ট্রেশন আধিকারিক (এইআরও) নিয়োগের...
Exit mobile version