হাটে ভাঙলো হাঁড়ি, পাশে বসা কাউন্সিলরের নামে ফোনে অভিযোগ শুনলেন মেয়র

এভাবে যে হাটে হাঁড়ি ভাঙবে স্বপ্নেও ভাবেননি ‘অভিযুক্ত’ কাউন্সিলর৷ ভাবেননি কলকাতার মহানাগরিকও৷ কপাল খারাপ কেঁচোর গর্ত থেকে বেরিয়ে এলো কেউটে৷

কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিমের ‘টক টু মেয়র’ অনুষ্ঠান চলছিলো শনিবার৷ তখনই কেলোর কীর্তি৷ মেয়রের কাছেই তাঁর দলের এক কাউন্সিলরের নামে অভিযোগ করলেন কলকাতার এক নাগরিক৷ ঘটনাচক্রে মেয়রের পাশের চেয়ার আলো করে তখন বসেছিলেন “অভিযুক্ত’ কাউন্সিলর সন্দীপন সাহা৷ এই অভিযোগ শুনতে একেবারেই প্রস্তুত ছিলেন না মহানাগরিক।

পুরসভা ভোটের আগে। ‘টক টু মেয়র’ অনুষ্ঠান চালু করেছেন ফিরহাদ হাকিম। সরাসরি নাগরিকদের অভিযোগ শোনেন, প্রতিকার করার চেষ্টা করেন৷ সেই কাজ করতে এদিনও বসেছিলেন৷ তখনই এলো সেই ফোন৷ ফোন করেছিলেন ৫২ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা দেবাশিস ভট্টাচার্য। তিনি অভিযোগ করেন, ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সন্দীপন সাহা বাড়িতে লোকজন পাঠিয়ে ভয় দেখাচ্ছেন।

দলের কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে হুমকির অভিযোগ পেয়ে নিশ্চিতভাবেই বেশ অস্বস্তিকর অবস্থায় পড়লেন ফিরহাদ হাকিম৷ তার ওপর সেই কাউন্সিলর তখন তাঁর পাশেই বসে৷ সামাল দিলেন ফিরহাদ৷ মেয়র সমস্ত অভিযোগ শুনে অভিযোগকারীকে পরামর্শ দেন, “আপনি নিউ মার্কেট থানায় অভিযোগ দায়ের করুন। আইনি ব্যবস্থা নিন”। তারপর কাউন্সিলরকে ‘বাঁচাতে’ মেয়র বলেন, “বাড়ির মালিকের অভিযোগ ঠিক নয়। বহু বছর ধরে ওই বাড়িতে ভাড়া আছেন অনেকে। ভাড়াটিয়াদের হয়েই সওয়াল করেছিলেন কাউন্সিলর। তাদের আইনি ব্যবস্থা নিতে সাহায্য করেছিলেন”।

মেয়র সাফাই দিলেন বটে, তবে সেই সাফাই কেউ বিশ্বাস করেছেন কি’না সন্দেহ৷ প্রসঙ্গত, ‘অভিযুক্ত’ এই কাউন্সিলর সন্দীপন সাহার বাবা তৃণমূলেরই বিধায়ক স্বর্ণকমল সাহা৷ কাউন্সিলর সন্দীপন এখন ওয়ার্ডের কাউন্সিলর, সেই ৫২ নম্বর ওয়ার্ডটি এবার মহিলা সংরক্ষিত হয়েছে৷ ফলে সন্দীপন ওয়ার্ডহীন হয়ে পড়েন৷ সেই পরিস্থিতিতে তাঁর নাম ভাসিয়ে দেওয়া হয়েছে ৫৮ নম্বর ওয়ার্ডে৷ ঘটনাচক্রে এই ৫৮ নম্বর ওয়ার্ডটি এন্টালি বিধানসভা কেন্দ্রের অধীন! এবং এন্টালির বিধায়ক কাউন্সিলরের বাবা স্বর্ণকমল৷

Previous articleরাজ্যসভায় তৃণমূল প্রার্থী দীনেশ বাজাজ ! জল্পনা তুঙ্গে
Next articleব্রেকফাস্ট নিউজ