রাজ্যসভা: দলীয় নেতৃত্বেই আস্থা রাখল তৃণমূল

তৃণমূলের রাজ্যসভার প্রার্থীতালিকায় বাড়তি চমক নেই। কিন্তু তাৎপর্য আছে। কোনো নতুন বুদ্ধিজীবী বা অন্য পেশার কেউ নন, পুরনো পরিচিতরাই প্রার্থী। চারজনের মধ্যে তিনজন লোকসভায় পরাজিত। একজন লোকসভায় আগে ছিলেন, এবার দাঁড়ান নি। বুদ্ধিজীবীদের মধ্যে একমাত্র অর্পিতা ঘোষ। কিন্তু তিনি দলের সঙ্গে পরিবর্তনের আন্দোলনের সময় থেকে আছেন। 2014তে লোকসভায় জিতেছিলেন। এবার হারলেও দল তাঁকে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা সভাপতি করেছে। সুব্রত বক্সি দলের রাজ্য সভাপতি ও সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক। দলের স্বার্থে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন জায়গা থেকে দাঁড়ান। শেষবার লোকসভায় লড়েন নি। দীনেশ ত্রিবেদী বারাকপুরে হেরেছেন। মৌসম নূরও লোকসভায় পরাজিত। এদের মধ্যে মৌসমই তুলনায় তৎকাল তৃণমূল। 2019 সালে লোকসভার মুখে তৃণমূলে এসে হেরেছেন। এখন আবার টিকিট পেলেন। তবে এটা স্পষ্ট, বাইরের গ্ল্যামার নয়, এবার সাংগঠনিক ব্যক্তিদের রাজনৈতিক পুনর্বাসন দেওয়া হয়েছে। মনীশ গুপ্ত, যোগেন চৌধুরিরা প্রার্থী হন নি। আবার শুভাপ্রসন্ন, ওমপ্রকাশ মিশ্রদের নাম শোনা যাচ্ছিল। সেসব নামও তালিকায় নেই। তৃণমূলসূত্রে খবর, দীনেশ, অর্পিতা, মৌসমকে রাজ্যসভার সাংসদ করে তাঁদের এলাকায় বিজেপির অগ্রগতিতে রাশ টানার চেষ্টা হয়েছে। বিজেপি এমনিতেই হাওয়াটা হারিয়েছে। এখন তাদের সাংসদদের এলাকায় সমান্তরাল সাংসদ দেওয়া হচ্ছে।

Previous articleরবীন্দ্রভারতীর ঘটনায় কেন্দ্র-রাজ্যকে কটাক্ষ করলেন বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য
Next articleনারী শক্তি পুরস্কার : বাংলার মুখ উজ্জ্বল করলেন কৌশিকী