পার্ক সার্কাস কাণ্ডে রাতভর তল্লাশি রেল পুলিশের, অদিতির সাহসিকতাকে কুর্নিশ গোটা বাংলার

দোলের রাতে পার্ক সার্কাস স্টেশনে চলন্ত ট্রেনে মহিলা কামরা লক্ষ্য করে পাথর বৃষ্টি এবং প্যাকেটে করে মহিলা সাংবাদিক অদিতি দে’র মুখে প্রস্রাব ছোড়ার ঘটনার উচ্চ পর্যায়ে তদন্ত শুরু করেছে রেল পুলিশ। রেল লাইনের ধারে সমাজ বিরোধীদের দৌরাত্ম আটকাতে এবং ঘটনার তদন্তে বিরাট বাহিনী নিয়ে পার্ক সার্কাস স্টেশন চত্ত্বরে রাতভর তল্লাশি অভিযান চালিয়েছে রেল পুলিশের শীর্ষকর্তারা। গতকাল দুপুরে ১০জনকে গ্রেফতার করার পর রাতে আরও বেশ কয়েক জনকে গ্রেফতার করা হয়। এসপি স্বয়ং হাজির ছিলেন গোটা অপারেশনে। রেল পুলিশের পক্ষ থেকে আস্বস্ত করা হয়েছে, দ্রুত প্রকৃত দোষীদের চিহ্নিত করে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। একইসঙ্গে যাত্রী নিরাপত্তায় এখন থেকে ২৪ ঘন্টা পার্ক সার্কাস স্টেশনে রেল পুলিশের একটা বাহিনী টহল দেবে।

পার্ক সার্কাস স্টেশন সংলগ্ন রেল লাইন দীর্ঘদিন ধরে সমাজবিরোধীদের বধ্যভূমি। চলন্ত ট্রেনে শুধু পাথর বা মূত্র ছোঁড়া নয়, রেল লাইনের ধার বরাবর মদ ও জুয়ার ঠেক তৈরি হয়েছে। আরও অনেক অবৈধ কাজকারবার চলে এখানে। সন্ধ্যা নামলেই সমাজ বিরোধীদের বদ্ধভূমিতে পরিণত হয় পার্ক সার্কাস স্টেশন। রেল প্রশাসন সব জেনেও এতদিন নিশ্চুপ ছিল। কিন্তু এবার নড়েচড়ে বসতেই হলো তাদের।

চাপে পড়ে এখন “পাথরবাজ” এবং সমাজবিরোধীদের বিরুদ্ধে লাগাতার অভিযান শুরু করেছে রেল পুলিশ। আর এই ঘটনায় মানুষ পুরো কৃতিত্ব দিচ্ছে সাংবাদিক অদিতি দে’কে। আক্রান্ত হওয়ার পর সে বাড়িতে বসে না থেকে ঘটনার প্রতিবাদ জানাচ্ছে। সাংবাদিক অদিতি এতটাই নির্ভীক ও সাহসী, যে দিনের আলোতে পার্ক সার্কাস স্টেশনে গিয়ে রেল পুলিশকে তদন্তে সাহায্য করছে।

অদিতির এমন সাহসিকতাকে কুর্নিশ করছে গোটা বাংলা। সংবাদ মাধ্যম থেকে শুরু করে সোশ্যাল মিডিয়া, সাধারণ মানুষ গোটা ঘটনার প্রতিবাদে অদিতির পাশে দাঁড়িয়েছে। বিভিন্নি মহল থেকে এই ঘটনার প্রতিবাদ করে প্রকৃত দোষীদের দ্রুত শাস্তির দাবি জানানো হয়েছে।

Previous articleমুকুলকে আনুন রাজ্যসভায়, নাড্ডাকে বললেন কৈলাস
Next articleএবার মধ্যপ্রদেশ: ফের শুরু রিসর্ট-রাজনীতি