ইয়েস ব্যাঙ্ক কেলেঙ্কারিতে এবার জেরার মুখে প্রিয়াঙ্কা?

ইয়েস ব্যাঙ্কের আর্থিক কেলেঙ্কারির তদন্তে এবার কি জিজ্ঞাসাবাদের মুখে পড়তে চলেছেন কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক প্রিয়াঙ্কা গান্ধী ভদরাও? ইডির হেফাজতে থাকা ইয়েস ব্যাঙ্কের প্রতিষ্ঠাতা ও প্রাক্তন সিইও রানা কাপুরের বয়ান, ব্যাঙ্ক স্টেটমেন্ট ও এক দশক আগে আদানপ্রদান হওয়া ব্ল্যাকবেরি মেসেজই এক্ষেত্রে ইডির বড় হাতিয়ার হতে চলেছে বলে জানা যাচ্ছে। ইডি সূত্রে খবর, ২০১০সালে তাঁকে কার্যত জোর করেই ২ কোটি টাকায় মকবুল ফিদা হুসেনের আঁকা রাজীব গান্ধীর পোট্রেটটি প্রিয়াঙ্কার কাছ থেকে কিনতে বাধ্য করা হয়েছিল বলে জেরায় স্বীকার করেছেন রানা। তিনি জানিয়েছেন, এই কাজে মধ্যস্থতাকারীর ভূমিকা পালন করেন প্রাক্তন কেন্দ্রীয় পেট্রোলিয়ামমন্ত্রী মুরলী দেওরার পুত্র ও দক্ষিণ মুম্বইয়ের প্রাক্তন কংগ্রেস সাংসদ মিলিন্দ দেওরা। সূত্রের খবর, শুধু প্রিয়াঙ্কাই নন, ইডির জেরার মুখে পড়বেন মিলিন্দও।

প্রসঙ্গত, ১৯৮৫ সালে কংগ্রেসের শতবর্ষ উৎসব উপলক্ষ্যে রাজীব গান্ধীর পোট্রেটটি এঁকে উপহার দেন প্রখ্যাত শিল্পী মকবুল ফিদা হুসেন। ২০১০ সালে সেই পোট্রেটই তাঁর নিজের সম্পত্তি হিসাবে দেখিয়ে ইয়েস ব্যাঙ্ক কর্তাকে বিক্রি করেন প্রিয়াঙ্কা। ইডির তদন্তসূত্রে খবর, রানার কাছ থেকে পাওয়া টাকা হিমাচল প্রদেশে প্রিয়াঙ্কার কেনা কটেজে খরচ করা হয়েছে। ইডি সূত্রে জানা গিয়েছে, রানার বিরুদ্ধে মানি-লন্ডারিং তদন্তের প্রয়োজনে প্রিয়াঙ্কার হিমাচলের কটেজও বাজেয়াপ্ত হতে পারে। জানা গিয়েছে, ছবি বিক্রি সংক্রান্ত সমস্ত ব্ল্যাক বেরি ম্যাসেজ প্রায় এক দশক ধরে সংরক্ষিত করে রেখেছিলেন ইয়েস ব্যাঙ্ক কর্তা, যা এখন ইডির হাতে। তাতে দেখা যাচ্ছে, ‘রানা আঙ্কেল’ সম্বোধন করে প্রিয়াঙ্কার তরফে ২ কোটি টাকার জন্য বারবার তাগাদা দিচ্ছেন মিলিন্দ দেওরা। শেষ পর্যন্ত ২০১০-এর ৩ জুন রানা প্রিয়াঙ্কাকে ২ কোটির চেক পাঠান এবং প্রিয়াঙ্কাও তাঁকে ধন্যবাদ জানিয়ে চিঠি দেন।

কংগ্রেসের পক্ষ থেকে ইতিমধ্যেই প্রিয়াঙ্কার সমর্থনে বলা হয়েছে, ছবি বিক্রির আয়ের পুরো তথ্যই সংশ্লিষ্ট বছর আয়করের রিটার্ন জমা দেবার সময় পেশ করেছিলেন প্রিয়াঙ্কা। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। ইডির বক্তব্য, শিল্পী হুসেন প্রধানমন্ত্রী রাজীবের প্রতিকৃতিটি শতবর্ষ উপলক্ষ্যে কংগ্রেস দলকে দিয়েছিলেন। তা প্রিয়াঙ্কার ব্যক্তিগত সম্পত্তি হয় কীভাবে বা তিনি কীভাবে তা বিক্রি করেন? ২০১০ সালে ইউপিএ জমানায় ওই ছবি বিক্রির পরই ইয়েস ব্যাঙ্ককে সারা দেশে একসঙ্গে অনেকগুলি শাখা খোলার অনুমতি দেওয়া হয়েছিল বলে যে অভিযোগ উঠছে তাও তদন্তকারীরা খতিয়ে দেখছেন।

Previous articleচড়ছে পারদ, সঙ্গে বৃষ্টির ভ্রুকুটি রাজ্যে
Next articleআর একটু পরেই সিন্ধিয়ার বিজেপিতে যোগদান