মধ্যপ্রদেশে আজ বিকেল পাঁচটার মধ্যে আস্থাভোট

মধ্য প্রদেশ বিধানসভায় আজ, শুক্রবার বিকেল পাঁচটার মধ্যে আস্থা ভোট করতে হবে৷ বৃহস্পতিবার এমনই নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। বিধায়করা হাত তুলে ভোট দেবেন৷ ভোটপর্বের প্রক্রিয়া লাইভ টেলিকাস্ট করারও নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। রায় ঘোষণার আগেই আস্থা ভোট নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের পর্যবেক্ষণ ছিলো, যত সময় দেওয়া হবে, ততই ‘ঘোড়া কেনাবেচা’র সুযোগ বাড়বে৷ রাজনৈতিকমহলের অভিমত, কমল নাথ সরকার আর টিঁকবে না৷

ওদিকে, ইস্তফা দেওয়া ২২ বিধায়ককেই সশরীরে হাজির হওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন স্পিকার নর্মদাপ্রসাদ প্রজাপতি।

জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়ার ঘনিষ্ঠ ২২ বিধায়কের ইস্তফার পরেই মধ্যপ্রদেশে কমল নাথ সরকার সঙ্কটে পড়ে৷ এর পরেই গত ১৪ মার্চ আস্থা ভোটের নির্দেশ দেন রাজ্যপাল। কিন্তু করোনা-কারণে বিধানসভার অধিবেশন ২৬ দিনের জন্য পিছিয়ে দেন স্পিকার। সেই সময়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয় বিজেপি।

বৃহস্পতিবার বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের বেঞ্চে সেই মামলার চূড়ান্ত শুনানিতে কংগ্রেস অভিযোগ করে, ওই ২২ বিধায়ককে জোর করে আটকে রাখা হয়েছে। বিজেপির পাল্টা দাবি, ভূপালে গেলে কংগ্রেস জবরদস্তি করে অথবা টাকা দেখিয়ে ওই বিধায়কদের দলে টেনে নেবে। ওই বিধায়করাও তো স্পিকারের সঙ্গে দেখা করতে নারাজ।

স্পিকারের আইনজীবী আদালতে জানান, বিধায়কদের সশরীরে হাজিরা দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। এর পর বিচারপতি চন্দ্রচূড় ভিডিও কনফারেন্সে বিধায়কদের সঙ্গে কথা বলার প্রস্তাব দিয়ে বলেন, ‘ওই বিধায়করা স্বেচ্ছায় ইস্তফা দিয়েছেন কি না, তা আমরা যাচাই করে দেখার ব্যবস্থা করতে পারি। আমরা বেঙ্গালুরু বা অন্যত্র একজন পরিদর্শক নিয়োগ করতে পারি, যার মাধ্যমে স্পিকার ভিডিও কনফারেন্সে বিধায়কদের সঙ্গে কথা বলে সিদ্ধান্ত নিতে পারেন।’ এবার ২ সপ্তাহের সময় চান স্পিকার। তাঁর আইনজীবী অভিষেক মনু সিংভি আদালতে বলেন, ‘ সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য ২ সপ্তাহ সময় দিন। বিদ্রোহী বিধায়কদের মধ্যপ্রদেশে বাড়িতে ফিরতে দিন। ওঁরা পরিবার থেকে দূরে অস্বাভাবিক পরিবেশে বসবাস করছেন। ভিডিও কনফারেন্সের শুধুমাত্র একটি ধারণা পাওয়া যাবে।’ এর উত্তরেই বিচারপতি চন্দ্রচূড় ঘোড়া কেনাবেচার প্রসঙ্গ উল্লেখ করেন।

Previous articleহোম ডেলিভারির সুযোগ দিচ্ছে বিগবাজার, জানুন ফোন নম্বর
Next articleকরোনা-মৃত্যুর সংখ্যায় চিনকে হারিয়ে দিলো ইতালি