একজন গণিতের শিক্ষিকা শিক্ষিকা অপরজন ইংরেজির। দুজনের বিচারধারা ভিন্ন। খাওয়া-দাওয়া পোশাক-পরিচ্ছদ সব অন্যরকম। কিন্তু শারীরিক গঠনের দিক দিয়ে এরা এক দেহ দুই প্রাণ। ১৯৯০ সালের ৭ মার্চ জার্মানির মিনেসোটায় জন্ম হয় পেটি হেনসেলের দুই কন্যার। জন্মের পর জানা যায় এই দুই মেয়ে পরস্পরের সঙ্গে সংযুক্ত। ডাক্তারি পরিভাষায় তারা ডিসেফুলাস টুইন । ৫০ হাজার শিশু জন্মের একটি ক্ষেত্রে ডিসেফুলাস টুইন্স হতে পারে। এদের মধ্যে চল্লিশ শতাংশই জন্মের পর মারা যায়। চিকিৎসক জানিয়েছিলে যদি এই দুই বোনকে অপারেশনের দ্বারা আলাদা করা হয়, তাহলে একজনের প্রাণহানি হতে পারে। মেনে নেননি পেটি হেনসেল। সব বাধা পেরিয়ে অ্যাবি হেনসেল ও ব্রিটেনি হেনসেলেকে বড় করে তোলেন পেটি। আজ দুই বোন একই স্কুলে দুই সফল শিক্ষিকা। একই শরীরে দুই ভিন্ন মানুষ। পরস্পর পরস্পরের পরিপূরক কিন্তু দুই মাথার সাথে একটি ধর জোড়া থাকায়, পাশ ফিরে শুতে পারে না দুই বোন। ফলে ঘুমটাই যা অসুবিধার।
