অশীতিপর চোখে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ, দেশভাগের চালচিত্রে আজকের করোনাযুদ্ধ

ডঃ জ্যোতিপ্রকাশ মৌলিক

তাঁর অশীতিপর চোখ দেখেছে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ, দেশভাগ, মন্বন্তর, ব্ল্যাক আউট। কিন্তু এই লকডাউন সেই চোখেও একেবারে নতুন অভিজ্ঞতা। করোনাভাইরাস সংক্রমণ রোধে দেশ জুড়ে লকডাউন। এরকম পরিস্থিতি আগে কোনোদিন দেখেননি বলে ‘এখন বিশ্ব বাংলা সংবাদ’- কে জানালেন প্রাক্তন প্রধান শিক্ষক ডঃ জ্যোতিপ্রকাশ মৌলিক। তিনি বলেন, সেই সময়ের কথা, যখন যোগাযোগের এত মাধ্যম ছিল না। তাহলে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ বা দেশভাগের সময় জরুরি পরিষেবা কি বন্ধ থাকত? তিনি জানালেন, বন্ধ থাকত না। সাইকেল বা ভ্যান রিকশায় একটা নম্বর দেওয়া হত। সেই নম্বর মিলিয়ে জরুরি জিনিস আদান-প্রদানের জন্য ব্যবহৃত যান ছাড় পেত।

আগের সেই জরুরি অবস্থার সঙ্গে আজকের পার্থক্যটা কোথায়? স্পষ্ট ভাষায় প্রাক্তন প্রধান শিক্ষক বললেন, ” আজ রাজ্য সরকার পাশে আছে। আর জরুরি অবস্থার সময় সরকারি নিপীড়ন ছিল। বহু সাংবাদিককে জেলে ভরা হয়েছিল।
তাঁর স্মৃতিতে উঠে এল আরও পুরনো দিনের কথা। সালটা ১৯৪৫, জ্যোতিপ্রকাশ মৌলিক তখন সপ্তম শ্রেণীর ছাত্র। একদিন স্কুলের দশম শ্রেণীর পড়ুয়া নীলুদা জানাল, “আজ সবার ছুটি, কারণ জাপানকে হারিয়ে বিশ্বযুদ্ধ জয় করেছে ইংরেজরা”। বড় হয়ে তিনি জানতে পারেন ১৯৪৫ সালের অভিশপ্ত অগাস্ট মাসে হিরোশিমা- নাগাসাকিতে অ্যাটম বোমা ফেলে জয়ী হয়েছিল ব্রিটিশ।
হালফিলের বাবরি মসজিদ ধ্বংসের সময় জনজীবন অশান্ত ছিল। মাঝেমধ্যে কারফিউ হত। বন্যা-প্লাবন প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়েছে বারবার। কিন্তু এই ৮৭ টা বসন্তে এমন অলস, কর্মহীন, উদ্বেগে থাকতে হয়নি। সরকারি নির্দেশ মেনে চললে নিশ্চয়ই করোনাযুদ্ধ জয় করা যাবে বলে আশা তাঁর। আরও অনেক কথা তিনি জানিয়েছেন ‘এখন বিশ্ববাংলা সংবাদ’- কে।

জানতে দেখুন –

Previous articleহ্যান্ড স্যানিটাইজার তৈরি করেছিলেন এক নার্সিং ছাত্রী, কে তিনি?
Next articleলাইভে এসে গালিগালাজ শ্রীলেখার, নিন্দার ঝড় সোশ্যাল মিডিয়ায়