‘অপারেশন নমস্তে’ : করোনার বিরুদ্ধে কঠিন লড়াইয়ে নেমে পড়লো ভারতীয় সেনা

‘অপারেশন নমস্তে’৷

একদমই অন্য যুদ্ধ৷ শত্রু অদৃশ্য, বাতাসে না’কি ভাসছে৷ দেখার কোনও সুযোগ নেই৷ শক্তিশালী মাইক্রোস্কোপ এই শত্রুকে চিহ্নিত করতে সক্ষম কি’না, তাও জানা যায়নি৷
সেই অজানা শত্রু নিধনেই নামলো ভারতীয় সেনা।
করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে ‘যুদ্ধে’ নামলো ভারতীয় সেনা৷ এই লড়াইয়েরই সাংকেতিক নাম ‘অপারেশন নমস্তে’৷

ভারতীয় সেনা প্রধান এমএম নারভানে জানিয়েছেন, “করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের এই কঠিন সময়ে দেশকে রক্ষা করতে আমাদেরও সুস্থ থাকতে হবে। সেই কারণে সেনাবাহিনীর জন্য কয়েক দফা নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে”। করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে পরিকাঠামো তৈরির কাজ চলছে যুদ্ধকালীন তত্‍পরতায়। সরকারকে এই কঠিন সময়ে সাহায্য করা সেনাবাহিনীর কর্তব্য বলে জানিয়েছে ভারতীয় সেনা প্রধান এমএম নারভানে। তিনি বলেছেন,
“আমরা আরও একবার আমাদের শত্রুকে হারিয়ে জয়ী হবো৷ অতীতের সব ক’টি অভিযানে ভারতীয় সেনা যেভাবে সফল হয়েছে, ‘অপারেশন নমস্তে’-ও ঠিক তেমনভাবেই সাফল্য পাবে৷ ইতিমধ্যেই করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে,

◾সেনাবাহিনী হেল্পলাইন নম্বর চালু করেছে।

◾সেনাবাহিনীর সাদার্ণ কমান্ড, ইস্টার্ন কমান্ড, ওয়েস্টার্ন কমান্ড, সেন্ট্রাল কমান্ড, নর্দার্ন কমান্ড, সাউথ ওয়েস্টার্ন কমান্ড এবং দিল্লির সদর দফতরে করোনা হেল্পলাইন সেন্টার চালু করেছে।

◾যে সব রাজ্য করোনা- নিষেধাজ্ঞা ঠিকভাবে প্রয়োগ করতে সক্ষম হচ্ছে না, যেখানে সেনাবাহিনী বা আধাসামরিক বাহিনী
মোতায়েন করা হবে।

◾গোটা দেশে এখনও পর্যন্ত ৮টি কোয়ারানটিন সেন্টার চালু করেছে সেনা।

◾কোয়ারানটিন সেন্টার ছাড়াও ভারতীয় বায়ুসেনা লেহ এবং একাধিক প্রত্যন্ত এলাকায় চিকিত্‍সা সরঞ্জাম সরবরাহ করা শুরু করেছে৷

◾করোনা-পরীক্ষার জন্য লালারসের নমুনা দিল্লি-চণ্ডীগড়ে নিয়ে আসার কাজও শুরু করছে বায়ুসেনা।

◾যুদ্ধজাহাজ আইএনএস বিশ্বকর্মায় কোয়ারানটিন শিবির তৈরি করেছে নৌসেনা।

সেনাপ্রধান এমএম নারভানে বলেছেন, “সেনাবাহিনীর সবাই সুস্থ থাকুন, তাহলেই সরকারকে এই বিপদের সময় সাহায্য করা সম্ভব হবে। সীমান্তে যারা আছেন, যারা বাড়ি ফিরতে পারছেন না, তাদের প্রতি বার্তা দেন সেনাপ্রধান। তিনি বলেছেন, তাঁদের বাড়ির লোকদের দেখাশোনা করা হবে। সীমান্তে যারা আছেন, তাদের অনেক সময় সোশ্যাল ডিস্টেন্সিং করার উপায় থাকে না, যেটা করোনা রোধে খুব প্রয়োজনীয়। জওয়ানদের প্রয়োজনে কম্যান্ড হেল্পলাইনে ফোন করতে বলেছেন তিনি।

প্রসঙ্গত, শুক্রবার দেশে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৭২৪ এবং প্রাণ হারিয়েছেন ১৭জন। এমনই খবর কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের৷

Previous articleপুলিশের কাজের প্রশংসা মুখ্যমন্ত্রীর, ক্ষোভ প্রকাশ বাড়াবাড়িতে
Next articleসূর্যকান্ত কী বললেন?