Friday, May 16, 2025

করোনা- মোকাবিলার পরামর্শ দিলেন অভিজিৎ বিনায়ক বন্দ্যোপাধ্যায় এবং এস্থার দুফলো। পরামর্শের মূল কথা, নাগরিকদের মধ্যে সচেতনতা তো গড়ে তুলতে হবে, একইসঙ্গে স্বাস্থ্য পরিকাঠামোও শক্তপোক্ত করতে হবে৷

লকডাউনের সময় ঠিক কী কী করণীয়, তা নিয়েও ৯ দফা পরামর্শ দিয়েছেন নোবেলজয়ী এই দম্পতি।

পশ্চিমবঙ্গে করোনা- সচেতনতার প্রচারে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যুক্ত করেছেন অভিজিৎ এবং এস্থারকে। কর্নাটকে এই একই বিষয়ে একটি সমীক্ষাও দ্রুত সেরে ফেলেছেন তাঁরা। তাঁদের নজরে এসেছে যে সব তথ্য ও যুক্তি, তার ভিত্তিতেই নোবেলজয়ী এই দম্পতি’র অভিমত৷

◾করোনাভাইরাসের নাম শুনলেও বেশির ভাগ মানুষই এখনও জানেন না, এটি এড়াতে ঠিক কোন কোন বিষয়ে নজর দিতেই হবে৷

◾২১ দিনের লকডাউনের জন্য ভারতে করোনা- সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে রাখা গেলেও এর মূল রাশ টেনে ধরা খুব কঠিন।

◾কারণ, নতুন করে বহু মানুষের মধ্যে করোনা ছড়িয়ে দিতে পারেন সংক্রমিত ব্যক্তি।

◾করোনাভাইরাস বহনকারীদের চিহ্নিত করাও বেশ কঠিন কাজ।

◾ঘনবসতিপূর্ণ এলাকার কোনও বাসিন্দা এই ভাইরাসে আক্রান্ত হলেও তা রোখা মুশকিল হবেই৷

◾ ২১ দিনের লকডাউনের বিধিনিষেধ উঠে গেলে করোনা- আক্রান্তের হার বৃদ্ধিরও সম্ভাবনাও প্রবল৷

◾২১ দিনের লকডাউনের মধ্যেই সংক্রমণে পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আনা যাবে, এমনটাও মনে করা উচিত নয়৷

কী ভাবে এই ভাইরাসকে রোখা যাবে, সে বিষয়ে ৯টি পথ বাৎলেছেন বলেছেন অভিজিৎ এবং এস্থার।

🔵 করোনা-সচেতনতার প্রচার এমন ভাবে চালাতে হবে যাতে প্রতিটি পরিবারের অন্তত ১ জন সদস্য করোনা-সচেতন থাকেন।

🔵 ধরে নিতে হবে
সংক্রমণ হবেই৷ তাই লক্ষ রাখতে হবে, যাতে করোনা- আক্রান্ত ব্যক্তি কোনও ভাবেই সামাজিক ভাবে একঘরে না হয়ে যান বা তা লুকিয়ে না রাখেন।

🔵 বিভিন্ন প্রকল্পের সঙ্গে যুক্ত স্বাস্থ্যকর্মীদের মাধ্যমে এই ভাইরাসে আক্রান্তদের চিহ্নিত করে তা সামনে আনা সরকারের উচিত হবে৷

🔵 গ্রামীণ এলাকার স্বাস্থ্যকর্মীদের বিশেষ ভাবে প্রশিক্ষিত করতে
হবে৷ তাঁদেরই করোনা- বিষয়ে সংশ্লিষ্ট মহলের কাছে রিপোর্ট করতে পারেন।

🔵 করোনা সংক্রান্ত রিপোর্ট যাতে দ্রুত এবং দক্ষতার সঙ্গে একত্র করা যায়, তা-ও খেয়াল রাখতে হবে। করোনা পরিসংখ্যান-গ্রাফ তৈরিতে গোটা দেশ থেকে পাওয়া রিপোর্ট সাহায্য করবে৷

🔵 চিকিৎসক, নার্স-সহ স্বাস্থ্যকর্মীদের একটি ভ্রাম্যমান টিম তৈরি করতে হবে। তাদের দিতে হবে করোনা-পরীক্ষার সরঞ্জাম৷

🔵 এই টিম যাতে সমস্ত সরকারি-বেসরকারি হাসপাতাল ব্যবহার এবং সেখানকার প্রয়োজনীয় পরিকাঠামো ব্যবহারের সুযোগ পায়, তা নিশ্চিত করতে হবে।

🔵 সামাজিক সুরক্ষা প্রকল্পগুলির সুবিধা যাতে অর্থনৈতিক ভাবে অনগ্রসরেরা পান, তা দেখতে হবে সরকারকে। অর্থনৈতিক বিপর্যয় কাটাতে তা কাজে লাগবে৷

🔵 করোনার প্রতিষেধক না পাওয়া পর্যন্ত সরকারের এই ‘ফৌজি- তৎপরতা’ চালিয়ে যেতে হবে। প্রতিষেধক মিললেও স্বাস্থ্য পরিকাঠামো শক্তিশালী করার কাজ করে যেতে হবে।

Related articles

৭ ঘণ্টা সংযম দেখিয়েছে পুলিশ, বিকাশ ভবন থেকে অন্তঃসত্ত্বা-সহ কর্মীদের বের করাও পুলিশের কর্তব্য: শামিম-সুপ্রতীম

বিকাশ ভবনে চাকরিহারা বিক্ষোভকারীদের বিশৃঙ্খলার প্রতি ৭ ঘণ্টা সংযম দেখিয়েছে পুলিশ (Police)। কিন্তু যখন বিকাশ ভবনের কর্মীদের বাড়ি...

গম্ভীরের ইচ্ছাতেই টেস্ট অধিনায়ক হওয়ার পথে শুভমন গিল!

রোহিত শর্মা(Rohit Sharma) পরবর্তী ভারতীয় টেস্ট দলের অধিনায়ক কে হবেন। হিটম্যান অবসর নেওয়ার পর থেকে এই নিয়েই চর্চা...

ফল প্রকাশ উচ্চ মাধ্যমিকের বৃত্তিমূলক পরীক্ষার, উত্তীর্ণদের শুভেচ্ছা মুখ্যমন্ত্রীর

শুক্রবার রাজ্যের বিভিন্ন বিষয়ের ওপর বৃত্তিমূলক(Vocational) পরীক্ষার ফল প্রকাশ করল ওয়েস্ট বেঙ্গল স্টেট কাউন্সিল অফ টেকনিক্যাল অ্যান্ড ভোকেশনাল...

স্বস্তি মুম্বই ইন্ডিয়ান্স শিবিরে, ফিরছেন উইল জ্যাকস

মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের(Mumbai Indians) জন্য স্বস্তির খবর। যখন বেশিরভাগ বিদেশি ক্রিকেটাররা আইপিএল থেকে নাম তুলে নিচ্ছেন, সেই সময় মুম্বই...
Exit mobile version