চতুর্থবার করোনা টেস্ট হল গায়িকা কণিকা কাপুরের। আগের ৩ বারের মতো চতুর্থ বারের পরীক্ষার ফলও “করোনা- পজিটিভ”। এর অর্থ,
করোনা- ভাইরাস থেকে এখনও মুক্তি মেলেনি তাঁর। এই খবর প্রকাশ্যে আসতেই ফের হইচই শুরু হয়েছে। হাসপাতালের প্রধান অধ্যাপক আর কে ধীমান জানিয়েছেন, কণিকার যেহেতু ৪বার করোনা পজিটিভ এসেছে তাই আরও দু’বার পরীক্ষা করা হবে। তখন নেগেটিভ এলে তাঁকে সম্পূর্ণ বিপদমুক্ত হিসেবে ছাড়া হবে। ততদিন পর্যন্ত চিকিৎসা চলবে তাঁর।
করোনার লক্ষ্মণ শরীরে প্রকাশ পেতেই সঞ্জয় গান্ধী পোস্ট গ্র্যাজুয়েট ইনস্টিটিউটে কণিকা ভর্তি হন৷ আমেরিকা ফেরত এই গায়িকা দেশে ফিরে লখনউতে নিজের বাড়িতে যান। তার আগে তিনি এক পার্টিতে মিলিত হন দেশের রাজনৈতিক, সাংস্কৃতিক দুনিয়ার বিশিষ্টজনদের সঙ্গে।
এই মুহূর্তে কণিকা আলাদা একটি ঘরে আইসোলেশনে আছেন। সেই ঘরেই রয়েছে অ্যাটাচড বাথ।.তাঁর জন্য রয়েছে আলাদা টিভি সেট। এছাড়া, এই ধরনের রোগীদের জন্য যে বিশেষ এয়ার কন্ডিশনের ব্যবস্থা রয়েছে সেই সুবিধাও পাচ্ছেন তিনি। পুলিশ সূত্রে খবর, লন্ডন থেকে ফেরার পর ১১ মার্চ লখনউ আসেন কণিকা। সেই সময় বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ তাঁকে নিয়ম মেনে নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত সবার থেকে আলাদা থাকতে বলেছিলেন। তিনি সেই সমস্ত নির্দেশ উপেক্ষা করে রীতিমতো পার্টি করেন। বিদেশ থেকে ফেরার ১০ দিন পরে শিল্পী ঘোষণা করেন, “গত ৪ দিন ধরে তাঁর ফ্লু দেখা দিয়েছে। পরীক্ষা করার পর কোভিড -১৯ ধরা পড়ে। আমি এখন সম্পূর্ণ আইসোলেশনে আছি। এবং চিকিৎসকের পরামর্শ অনুসরণ করে চলেছি।”
এদিকে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার পরেও তিনি পার্টি করায় গায়িকার বিরুদ্ধে মামলা করেছে লখনউ প্রশাসন। খবর, কাপুরের বিরুদ্ধে সরোজিনী নগর থানায় ভারতীয় দণ্ডবিধির ধারা ১৮৮, ধারা ২৬৯ এবং ২৭০ ধারায় মামলা করা হয়েছে। লখনউয়ের চিফ মেডিকেল অফিসারের অভিযোগের ভিত্তিতে FIR-ও দায়ের হয়েছে।
এদিকে, কণিকার বন্ধু ওজস দেশাই, যিনি তাঁর সঙ্গে দু’দিন হোটেল তাজ-এ ছিলেন তিনি কিন্তু সংক্রমণে আক্রান্ত হননি। যদিও তিনি ৩ দিন পর সেল্ফ কোয়ারেন্টাইনে চলে যান।