এখন তাঁরাই রোগীদের কাছে ঈশ্বর। নিজেদের জীবন, পরিবার সবকিছু তুচ্ছ করে কোভিড 19-এর বিরুদ্ধে লড়ছেন তাঁরা। অথচ তাঁদের সুরক্ষার জন্য নেই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা। এমনটাই অভিযোগ উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের চিকিৎসকদের। সোমবারই সেখানে এক করোনা আক্রান্ত রোগীর মৃত্যু হয়েছে। স্বভাবতই সংক্রমণের ভয় করছেন অনেকেই। কিন্তু চিকিৎসকদের অভিযোগ, এই পরিস্থিতিতে তাঁদের জন্য প্রয়োজনীয় সুরক্ষা কিট আসেনি। নির্দিষ্ট পোশাকের বদলে তাঁদের জন্য পাঠানো হয়েছে রেনকোট। এমনকী, য মাস্ক পাঠানো হয়েছে, তাও একেবারে সাধারণ কাপড়ের। N-95 দূরে থাক, সাধারণ সার্জিকাল মাস্কও পাননি বলে অভিযোগ চিকিৎসকদের।

এই পরিস্থিতিতে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে জানালে, তারাও সহযোগিতার আশ্বাস দেয়নি। উল্টে ছুটি নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছে বলে অভিযোগ জানান ওই চিকিৎসক। তাঁর মতে, তাঁরা নিজেরাই শুধু সংক্রমিত হতে পারেন তাই নয়, তাঁরা করোনা ভাইরাসের বাহক হয়ে উঠতে পারেন। কারণ, বিভিন্ন রোগীদের সংস্পর্শে আসছেন। কারোর মাধ্যমে তাঁদের যদি করোনা ভাইরাস সংক্রমণ হয়, তাহলে অন্য আরও রোগীদের মধ্যে তা সংক্রমিত হতে পারে বলে আশঙ্কা। এই পরিস্থিতিতে ওই চিকিৎসকের দাবি, তাঁদের জন্য কোনও বিশেষ সুবিধা প্রয়োজন নেই। কিন্তু প্রয়োজনীয় মাস্ক, পোশাক এবং হ্যান্ড স্যানিটাইজার যেন দেওয়া হয়। এমন না হয়, যে রক্ষা করতে গিয়ে তাঁরাই বিপন্ন হয়ে পড়লেন। তবে সোমবার নবান্ন থেকে মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, যেসব জায়গায় প্রয়োজনীয় স্যুটের বদলে অন্য রকম পোশাক গিয়েছে সেগুলি তুলে নেওয়া হবে। এবং ভাইরাস সংক্রমণ রোধের নির্দিষ্ট পোশাক পাঠানো হবে।
