পুলিশ সব জানতো, তবুও দুর্ভাগ্যজনকভাবে অভিযুক্ত করা হচ্ছে: আমির- ই- জামাত মৌলানা সাদ

করোনা আপডেট :১ এপ্রিল, সন্ধে ৭টা। বিশ্ব : আক্রান্ত ৮,৮২,০৬৮, মৃত ৪৪,১৩৬। দেশ : আক্রান্ত ১৬৩৭, মৃত ৪৫। রাজ্য : আক্রান্ত ৩৭, মৃত ৩।

নিজামুদ্দিন মারকাজ মসজিদ এবং আমির-ই-জামাত মৌলানা সাদ

দিল্লির নিজামুদ্দিন মারকাজ মসজিদ এবং ওই মসজিদে হয়ে যাওয়া ‘তাবলিগ জামাত’ এই মুহুর্তে গোটা দেশের ঘুম কেড়ে নিয়েছে৷ এই জামাতে অংশ নিয়েছিলেন ভারতের বিভিন্ন স্থানের মানুষ। বিদেশ থেকেও এসেছিলেন প্রতিনিধিরা৷ এখানেই জবরদস্তভাবে জাঁকিয়ে বসেছে করোনাভাইরাস৷ ‘তাবলিগ জামাত’-এ অংশ নেওয়া প্রতিনিধিদের অনেকেই ফিরে গিয়েছে যে যার দেশে বা রাজ্যে৷ করোনার থাবায় এই জামাতে অংশ নেওয়া অনেকের মৃত্যুও হয়েছে৷ ফলে দেশজুড়ে ছড়িয়ে পড়েছে করোনা-সংক্রমণ ৷
গোষ্ঠীসংক্রমণ শুরু হওয়ার আশঙ্কায় ভারতজুড়ে এই তাবলিগ জামাতে আসা লোকজনকে খুঁজে বের করে আইসোলেশনে পাঠাতে রাজ্য সরকারগুলিকে কেন্দ্রীয় সরকার বিশেষ নির্দেশ পাঠিয়েছে। একইসঙ্গে মসজিদ কর্তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে৷ নিজামুদ্দিন মারকাজ মসজিদের আমির- ই- জামাত মৌলানা সাদের বিরুদ্ধেও ‘মহামারি নিয়ন্ত্রণ আইন’ এবং ভারতীয় দণ্ডবিধির একাধিক ধারায় মামলা হয়েছে৷

করোনা-সংক্রমণ ঘটানোর দায়ে অভিযুক্ত হয়ে কাঠগড়ায় ওঠার পরই এবার মুখ খুলেছে নিজামুদ্দিন মারকাজ মসজিদ তথা তবলিগ জামাতের কর্তারা৷ পরের পর টুইট করে ওই মসজিদের আমির- ই- জামাত মৌলানা সাদ বলেছেন, “জামাত এবং মসজিদকে যে ভাবে এখন করোনা-সংক্রমণের জন্য অভিযুক্ত করা হচ্ছে, তা ভিত্তিহীন৷
১) তবলিগ জামাত শান্তিপ্রিয় এক সংগঠন৷

২) কখনই কোনও দেশবিরোধী কাজে যুক্ত নয়৷

৩) তবলিগ জামাত সব সময় প্রশাসনকে সমর্থন করে এবং প্রশাসনিক নির্দেশ মেনে চলে৷

৪) হঠাৎ-ই লকডাউনের নির্দেশ জারি হওয়ার পর আমাদের বহু প্রতিনিধিকে তাদের বাড়ি পাঠানোর ব্যবস্থা করেছি৷

৫) আমরা নিয়মিতভাবে আমাদের পরিস্থিতির কথা পুলিশ ও প্রশাসনকে জানিয়ে গিয়েছি৷

৬) এখন যেভাবে তবলিগ জামাত, নিজামুদ্দিন মারকাজ এবং দিল্লি সরকারকে অভিযুক্ত করা হচ্ছে, তা দুর্ভাগ্যজনক”৷

এর পাশাপাশি ওই মসজিদের তরফে মৌলানা ইউসুফ নিজে SHO, Hazarat Nizamuddin-কে গত ২৫ মার্চ একটি চিঠি দিয়েছিলেন৷ ওই চিঠিতে বলা হয়, “মসজিদে তবলিগে জামাতে আসা প্রতিনিধিদের মধ্যে ১৫০০ জনকে ২৩মার্চ ফেরত পাঠানো হয়েছে৷ এখনও মসজিদে প্রায় ১০০০ জন আছেন৷ প্রশাসনিক নির্দেশ মেনে আমরা SDM-এর কাছে গাড়ির অনুমতি চাই৷ ২৫ মার্চ আমাদের ডাকা হয় বৈঠকের জন্য৷ কিন্তু গাড়ির অনুমতি পাইনি”৷

এরপর দিল্লি পুলিশের অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনার অতুল কুমারকেও মসজিদের তরফে মৌলানা ইউসুফ গত ২৯ মার্চ একটি চিঠি দেন৷ সেই চিঠিতেও বলা হয়, প্রশাসনের সঙ্গে প্রথম থেকে সহযোগিতা করেছি৷ মসজিদে থাকা প্রতিনিধিদের পাঠানোর জন্য গাড়ির অনুমতি চেয়েও পাইনি৷ আমরা অনুমতি চেয়ে চিঠি দিয়েছি, পরপর একাধিক বৈঠক করেছি প্রশাসনিক কর্তাদের সঙ্গে৷ প্রশাসন যা বলেছে মেনেছি৷ কিন্তু প্রতিনিধিদের ফেরত পাঠানোর জন্য গাড়ির অনুমতি চেয়েও পাইনি৷”

[সব ক’টি চিঠি ও টুইটের প্রতিলিপি প্রতিবেদনের সঙ্গে দেওয়া হয়েছে]

Previous articleনিজামুদ্দিন : মুখ্যমন্ত্রী আঙুল তুললেন কেন্দ্রের দিকে
Next articleBREAKING: করোনা আতঙ্কের মধ্যেই পুলিশের জালে ভুয়ো ডাক্তার