নভেল করোনাভাইরাসের বর্তমান এপিসেন্টার আমেরিকা, বলছেন বিশেষজ্ঞরা। করোনায় মৃত্যুমিছিল চলছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে। মৃত্যুসংখ্যা প্রায় ২২ হাজার ছুঁতে চলেছে। মৃত ও আক্রান্ত মিলিয়ে বিশ্বে সবচেয়ে বেশি করোনা সংক্রমণ এখন ডোনাল্ড ট্রাম্পের দেশে। অবস্থা বেগতিক দেখে আমেরিকার ৫০ টি দেশে ‘বিপর্যয়’ ঘোষণা করেছে মার্কিন প্রশাসন। এই পরিস্থিতিতে ঘটল এক উলটপুরাণ। এতদিন দেখা যাচ্ছিল, অন্য দেশে আটকে থাকা নাগরিকরা নিজেদের দেশে দ্রুত ফিরতে চাইছেন। এক একটি দেশ থেকে বিমান এসে ফেরত নিয়ে যাচ্ছে নিজের দেশের নাগরিকদের। ভারত সহ পৃথিবীর সর্বত্রই এই চিত্র। করোনা আক্রমণের শুরুর দিকে অন্য দেশে আটকে থাকা মার্কিন নাগরিকরাও এভাবেই ফিরেছেন। ভারতে এখনও যেসব মার্কিন নাগরিক আটকে আছেন এবং লকডাউনের ফলে ফিরতে পারেননি তাঁদের নিয়ে যাওয়ার জন্য মার্কিন মুলুক থেকে বিশেষ বিমান আসার কথা থাকলেও জানা গিয়েছে, বেঁকে বসেছেন তাঁরা। অর্থাৎ এখনই তাঁরা ফিরতে চাইছেন না আমেরিকায়। তাঁরা চান আরও কিছুদিন ভারতেই থাকতে।

কিন্তু এর কারণ কী? কারণ একটাই। তা হল, করোনা আতঙ্ক। যেহেতু মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রই এই মুহূর্তে করোনা সংকটে সবচেয়ে বেশি বিধ্বস্ত, এবং তুলনায় ভারতের অবস্থা অনেকটাই ভাল, তাই সংক্রমণ থেকে বাঁচতে আরও কিছুদিন ভারতে থাকাই নিরাপদ মনে করছেন আমেরিকানরা। এদের মধ্যে মার্কিন পর্যটক যেমন আছেন তেমনি বিভিন্ন কাজে এসে আটকে পড়া মার্কিন নাগরিকও আছেন। মার্কিন প্রশাসন তাঁদের ফিরিয়ে নেওয়ার তৎপরতা দেখালেও এঁরা নিজেরাই এখন গড়িমসি করছেন যাতে আরও কিছুদিন ভারতে থাকা যায়। ইউএস স্টেট ডিপার্টমেন্টের আধিকারিক ইয়ান ব্রাউনলি সাংবাদিকদের জানান, ৮০০ মার্কিন নাগরিককে ফেরাতে তাঁদের জন্য বিশেষ বিমানের ব্যবস্থা করা হয়েছিল। কিন্তু দেখা গেল, ৮০০ জনের মধ্যে মাত্র ১০ জন আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন! তিনি জানান, প্রায় ২৪ হাজার মার্কিন নাগরিক এখনও ভারতে রয়েছেন। করোনা আতঙ্কে আপাতত ভারতকেই এরা নিরাপদ মনে করছেন।
