করোনা-পরিস্থিতিতে প্যারোল ও অন্তর্বর্তী জামিনে মুক্ত ১৪৭৮ জন বন্দি

করোনা-পরিস্থিতিতে রাজ্যের বিভিন্ন সংশোধনাগার বা কারাগারের চাপ কমিয়ে এ পর্যন্ত মুক্ত হলেন ১৪৭৮ জন বন্দি৷ এর মধ্যে ২৫২ জন সাজাপ্রাপ্ত বন্দি প্যারোলে মুক্তি পেয়েছেন। আর ১২২৬ জন বিচারাধীন বন্দি অন্তর্বর্তী জামিনে ছাড়া পেয়েছেন।

ভিড়ে ঠাসা সংশোধনাগারের চাপ না কমালে করোনা- সংক্রমণের আশঙ্কা প্রবলভাবেই রয়েছে৷ সে কারনেই সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে রাজ্যে গঠিত হয় এক হাইপাওয়ার কমিটি৷ সেই কমিটির সিদ্ধান্তেই সংশোধনাগার থেকে এই বন্দিরা সাময়িকভাবে হলেও সাধারণ জীবনে ফিরে যাওয়ার সুযোগ পেয়েছে৷ কলকাতা হাইকোর্টকে এই তথ্য জানিয়েছে স্টেট লিগাল সেল অথরিটি তথা সালসা। প্রধান বিচারপতি থোট্টাথিল ভি রাধাকৃষ্ণন ও বিচারপতি অরিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চ বলেছে, এরপরেও কোনও বন্দি যদি ছাড়া পেতে চায়, তাহলে তার মামলার বিষয়বস্তু ওই কমিটির কাছে পাঠাতে হবে। কমিটি মনে করলে সেই বন্দির ব্যাপারে উপযুক্ত সিদ্ধান্ত নেবে। প্রসঙ্গত, প্রেসিডেন্সি সংশোধনাগারে এক ষাটোর্ধ্ব মহিলা বন্দি ও আরও ৭ বন্দির আবেদনের প্রেক্ষিতে এই বিশেষ মামলার শুনানি হয়। আদালত জানিয়েছে, ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট অ্যাক্ট, ২০০৫ অনুযায়ী কেন্দ্রীয় সরকার যেসব গাইডলাইন জারি করেছে, তা যেন সংশোধনাগারেও অনুসরণ করা হয়। এছাড়া, কোনও বন্দি বা বিচারাধীন বন্দিকে ছাড়ার ব্যাপারে সমস্যা হলে তা যেন উপযুক্ত কারন- সহ কমিটির কাছে পেশ করা হয়। সালসার তরফে আদালতে জানানো হয়, ষাটোর্ধ্ব যে বিচারাধীন বৃদ্ধা ছাড়া পাওয়ার জন্য আবেদন করেছিল, তার ছেলেকে ই-মেল করে মামলার তথ্য জানাতে বলা হয়েছিল। কিন্তু, তার জবাব আসেনি। অন্য যে ৭ জন ছাড়া পাওয়ার জন্য চিঠি পাঠায়, তারা ইতিমধ্যেই প্যারোলে বাইরে যাওয়ার ছাড়পত্র পেয়েছে।

Previous articleকোচবিহারে অস্থায়ী সবজির বাজারে মাছের দোকান, আটক ব্যবসায়ী
Next article“রাস্তায় কেন?” আইসির এক প্রশ্নেই ঘরবন্দি শিলিগুড়ি