অভিষেকের ‘কল্পতরু’র ডাকে অভাবনীয় সাড়া, আশীর্বাদ করছেন এলাকার মানুষ

কথা ছিল প্রত্যেকদিন তাঁর সংসদীয় এলাকার অসহায় এবং দরিদ্র ৪০ হাজার মানুষকে টানা ১০দিন খাওয়াবেন। কিন্তু বাস্তব চিত্রটা একেবারে অন্য। যত দিন যাচ্ছে সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘কল্পতরু’র ছাতার তলায় জনসংখ্যা ক্রমশ বাড়ছে। শুরু হওয়ার ষষ্ঠ দিনে, ডায়মন্ডহারবার সংসদীয় এলাকায় খাবার পৌঁছে দেওয়ার সংখ্যাটা লাখ ছুঁই ছুঁই — ৯৭,০৯৭। আর সব মিলিয়ে ষষ্ঠ দিনেই দশ দিনের লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে গেল কল্পতরু, ৪,৯২,৯২৮ জনের বাড়িতে পৌঁছে গেল খাবার। দেশব্যাপী এই কঠিন পরিস্থিতিতে বাংলার কোনও সাংসদের এটি এক বেনজির উদ্যোগ। শুধু তাই নয়, বাংলার ইতিহাস ঘাঁটলেও খুঁজে পাওয়া মুশকিল যেখানে কোনও একজন সাংসদের একক প্রচেষ্টায় লাখ লাখ মানুষের কাছে খাবার পৌঁছে যাচ্ছে। উচ্ছ্বসিত ডায়মন্ডহারবারের মানুষ। তাঁরা আশীর্বাদ করছেন তৃণমূলের এই যুব সাংসদকে।

‘কল্পতরু’র আওতায় আসতে নাম নথিভুক্তিকরণের জন্য ফোনের ঝড় সামলাতে হয়েছে। লক্ষ্য ছিল করোনামুক্ত ডায়মন্ডহারবার এবং এই লকডাউনে দরিদ্র পরিবারগুলির হাতে খাবার তুলে দেওয়া। তৈরি হয় কমিউনিটি কিচেন। প্রত্যেকটি বিধানসভায় কমিউনিটি কিচেন। ৭টি বিধানসভায় মোট ২১টি। কমিউনিটি কিচেনের জন্য সব ধরণের সাবধানতা, শুদ্ধতার ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। খাবার পেতে কোথাও দরিদ্র মানুষগুলি নিজে ফোন করেছেন। আবার অনেকের মোবাইল না থাকায় এলাকার মানুষ সেই দরিদ্র পরিবারের সন্ধান দিয়েছেন। নাম নথিভুক্ত হয়েছে। যারা এই কমিউনিটি কিচেনের সঙ্গে জড়িয়ে, তাঁদের মাস্ক, গ্লাভস, অ্যাপ্রন দেওয়া হয়েছে। সব রকমের জীবাণুমক্তকরণের ব্যবস্থা করা হয়েছে।

সব মিলিয়ে এলাহি কর্মকাণ্ড অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে। কোথাও এতটুকু সমস্যা নেই। প্রতিদিন এই কল্পতরু চলছে মসৃণ গতিতে, সৌজন্যে ‘টিম অভিষেক’। বাংলায় ব্যতিক্রমী এই ‘কল্পতরু কর্মকাণ্ড’ সমাজসেবায় নিশ্চিত মাইলস্টোন হয়ে থাকবে।

Previous articleলকডাউনে বাংলা দূরদর্শনে ফিরছে “আবার যখের ধন”
Next articleউত্তরবঙ্গে সুস্থ হয়ে ফিরলেন আরও 4 করোনা আক্রান্ত