সাঙ্ঘাতিক আগামী দিন! হংকং থেকে লিখছেন বাঙালি যোগগুরু

দেবদত্ত বিশ্বাস
কোলুন, হংকং

দেশে দেশে লকডাউন চলছে। কতদিন চলবে, তার কোনো স্থিরতা নেই। এমুহূর্তে লকডাউন তুলে দেওয়াও বুদ্ধিমানের কাজ হবেনা। লকডাউন উঠে গেলেও অলিখিত ভাবে তা চলবে, বা বলাযায় – সুরক্ষার কথা চিন্তা করে অধিকাংশ ক্ষেত্রে তা চালিয়ে যেতেই হবে। আশাকরি সরকার প্রশাসন ( যে কারনে আমরা তাদের নির্বাচিত করেছি ) তৎপরতার সঙ্গে তা পরিচালনা করবেন, নয়তো আমাদের মতো বৃহৎ গণতান্ত্রিক দেশে এই সংক্রমণ পার্লামেন্ট থেকে ফ্লাইওভারের নিচ, কাউকেই ছেড়ে কথাবলবে না।সমস্ত ইন্টারন্যাশনাল ফ্লাইট বন্ধ, তাই পালানোর রাস্তাও বন্ধ। আর পালিয়ে যাবেইবা কোন দেশে, আমেরিকা, রাশিয়া, যুক্তরাজ্য, চিন, জাপান … ? একেই বলে এক ঘাটে জল খাওয়া। এমন ভাবার কোনও কারন নেই যে, লকডাউন উঠে গেলেই জীবন পুরোনো ছন্দে ফিরে আসবে। আসলে তা আর সম্ভব হবে কিনা সেটাই এখন বড় প্রশ্ন। আক্রান্ত জায়গা থেকে যারা বেঁচে ফিরবেন , স্ট্রং ক্যারিয়ার হিসাবে তারা কতদিন এ ভাইরাস বহন করবেন , তা কেউ জানে না।বিশেষত ভাইরাসটি যেভাবে এই চারমাসে তার চরিত্র বদল করে চলেছে, ডাক্তার বিশেষজ্ঞরাও স্হির ভাবে কোনও সিদ্ধান্তে আসতে পারছেন না। স্বাভাবিক কারনেই এই প্যানডেমিক চলে গেলেও এর ভয়াবহতার ছায়া সমাজের প্রতিটি স্তরে তীব্র ভাবে প্রতিফলিত হবে দীর্ঘ দিন ধরে। ব্যক্তিগত স্তরে প্রতিটি মানুষ যদি এই উদ্ভুত পরিস্থিতির সঙ্গে নিজেকে না মেলাতে পারেন, তবে হয়তো প্রত্যক্ষ ভাবে তিনি করোনায় শেষ হবেন না, কিন্তু মানসিক ভাবে শেষ হয়ে যাবেন। কারন কোনও কিছুই ঠিক আর আগের মতো হওয়ার নয়। ‘সারভাইভাল অফ দি ফিটেস্ট’ এর নিয়ম অনুযায়ী -তুমি যদি শারীরিক , মানসিক, আর্থিক, বৌদ্ধিক, আধ্যাত্মিক, প্রযুক্তিগত প্রভৃতি সমস্ত দিক থেকে নিজে প্রস্তুত না থাকো, তবে এই ধরিত্রী মায়ের কাছে তুমি এক বোঝা। মা-এর বয়স হয়েছে, মা একটু হাল্কা হতে চান। এখনও একটু সময় আছে , নিজেকে দ্রুত প্রস্তুত করো। ‘গো ব্যাক টু দ্য বেসিক’, যার অর্থ প্রাগৈতিহাসিক যুগে ফিরে যাওয়া নয়, বা অতি চালাকিও নয় ।

Previous articleকাঁচামালের আকাল, ৬০ থেকে ১৯০% দাম বাড়ল অ্যাজিথ্রোমাইসিন সহ একাধিক অ্যান্টিবায়োটিক, অ্যান্টি ইনফ্ল্যামেটরি, প্যারাসিটামল সহ বহু ওষুধের
Next articleরাজ্যকে সাতসকালেই হুমকি রাজ্যপালের, বিতর্ক