করোনা ভাইরাসের মোকাবিলায় আয়ুর্বেদ চিকিৎসায় ভরসা রাখছে শ্রীলঙ্কা

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানিয়েছেে , করোনা ভাইরাসের ইনকিউবেশন পিরিয়ড ১৪দিন পর্যন্ত স্থায়ী থাকে। যদিও কোনও কোনও গবেষক বলছেন, এর স্থায়িত্ব ২৪দিন পর্যন্ত থাকতে পারে। তবে তাঁরা একথাও জানিয়েছেন যে মানুষের মধ্যে যখন এই ভাইরাসের উপসর্গ দেখা দেবে তখন বেশি মানুষকে সংক্রমণের সম্ভাবনা থাকবে তাদের।
এই ভাইরাসের প্রতিষেধক নিয়ে তাবড় তাবড় দেশের বিজ্ঞানীরা গবেষণা চালালেও, এখনও পর্যন্ত প্রতিষেধক বের করতে সক্ষম হননি। আর এরই মাঝে দ্বীপরাষ্ট্র শ্রীলঙ্কা করোনাভাইরাসের সংক্রমণের হাত থেকে বাঁচতে ভরসা রাখছে আয়ুর্বেদ চিকিৎসার উপর।
সম্প্রতি আন্তর্জাতিক মেডিক্যাল জার্নালে একটি চিনা গবেষণাপত্র প্রকাশিত হয়। তাতে দাবি করা হয়, ১২টি ভেষজ সমৃদ্ধ পাচন খাইয়ে করোনামুক্ত করা হয়েছে বহু রোগীকে। প্রায় ৮ হাজার আয়ুশ চিকিৎসক ওই খবরের সূত্র ধরে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে আবেদন করেন, করোনা-যুদ্ধে আয়ুর্বেদ চিকিৎসকদের যুক্ত করা হোক। গত ২৮ মার্চ মোদি দেশের প্রখ্যাত আয়ুশ-চিকিৎসকদের নিয়ে ভিডিও কনফারেন্স করেন।
তৈরি করা হয় জাতীয় আয়ুশ প্রোটোকল। কেরল, হরিয়ানা, জম্মু-কাশ্মীর, গোয়া সেই প্রোটোকল মেনে করোনা-যুদ্ধে শামিল সেনানীদের আয়ুর্বেদ ওষুধ খাওয়াতে শুরু করে।
এরপরই শ্রীলঙ্কা সরকার করোনা-মোকাবিলায় আয়ুর্বেদকে অন্যতম অস্ত্র করার প্রস্তুতি নেয়। শ্রীলঙ্কার স্বাস্থ্যমন্ত্রক বলেছে, “সে দেশের অধিকাংশ আয়ুর্বেদ চিকিসৎক ভারতীয় ডিগ্রিধারী। তাই ভারত প্রোটোকল তৈরি করায় তাদের সুবিধা হয়েছে।”
জানা গিয়েছে, সুদর্শনঘনচূর্ণের মতো ওষুধ দেওয়া হচ্ছে রোগীদের। বিল্বাদি গুটিকা, ষড়াঙ্গ কষায়ও প্রয়োগ করা হচ্ছে করোনা রোগীকে সুস্থ করে তুলতে। এমনকি করোনা ভাইরাস-বধের জন্য ব্যবহার করা হচ্ছে অপরাজিতা ধূপনের মতো ভেষজ ধূপ। এ রাজ্যের আয়ুর্বেদ চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, গুগ্গুল, ধুনো, নিম, আকন্দ, দেবদারু ও অগুরু কাঠের চূর্ণ মিশিয়ে এই ধূপ তৈরি করা হচ্ছে। বাড়ি-ঘর জীবাণুমুক্ত করতে তা খুবই কার্যকর। এছাড়া করোনা প্রতিরোধে নীলগিরি তেল সহযোগে বাষ্পস্বেদ করানো হচ্ছে লঙ্কাবাসীদের। খাওয়ানো হচ্ছে গুরুচি ও অশ্বগন্ধা চূর্ণও।
বিষয়টি স্বীকার করে নিয়েছেন শ্রীলঙ্কার স্বাস্থ্যমন্ত্রকের আধিকারিক ডা. টি বীরারত্ন।

Previous articleরেড জোন ও হটস্পট বাদ দিয়ে কিছু ক্ষেত্রে লকডাউনে ছাড়, শুরু হবে ১০০ দিনের কাজও
Next articleআতঙ্ক নগরী আমেরিকা থেকে বাঙালি বিজ্ঞানী কোন বার্তা দিলেন?