রেড জোন ও হটস্পট বাদ দিয়ে কিছু ক্ষেত্রে লকডাউনে ছাড়, শুরু হবে ১০০ দিনের কাজও

পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী, ২০ এপ্রিল মধ্যরাতের পর থেকে দেশে করোনাভাইরাসের হটস্পট ও সংক্রমণপ্রবণ রেড জোনগুলি বাদ দিয়ে অন্যত্র কিছু ক্ষেত্রে লকডাউনে ছাড় দেওয়া হচ্ছে। পরিযায়ী শ্রমিকরা লকডাউন পর্বে যেসব রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে আটকে আছেন সেখান থেকেই তারা কর্মস্থলে যেতে পারবেন বা নতুন কাজের জন্য স্থানীয় কর্তৃপক্ষের কাছে নাম নথিভুক্ত করে কাজ খুঁজতে পারবেন। তবে হটস্পট ও রেড জোনগুলিতে পূর্ণ লকডাউন বহাল থাকবে। রবিবার কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। ভারতের সর্বশেষ করোনা পরিস্থিতি ব্যাখ্যা করে এদিন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের যুগ্মসচিব লব আগরওয়াল ও আইসিএমআর ডিরেক্টর রমন গঙ্গাখেডকর এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের মুখপাত্র পুণ্যসলিলা শ্রীবাস্তব জানিয়েছেন:

ভারতে বর্তমানে কোভিড আক্রান্তের সংখ্যা ১৫,৭১২। মোট অ্যাকটিভ কেস ১২,৯৭৪। মৃত্যুর সংখ্যা ৫০৭। এখনও পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ২২৩১ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে ২৭ টি মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে।

দেশে এপর্যন্ত কোভিড আক্রান্তদের মধ্যে সুস্থ হয়ে ওঠার হার ১৪.২%। যারা মারা গিয়েছেন তার মধ্যে ৮৩% ক্ষেত্রে কো-মরবিডিটি দেখা গিয়েছে।

গোটা দেশকে লাল, কমলা, সবুজ জোনে ভাগ করা এবং হটস্পট চিহ্নিত করার পর সংক্রমণ প্রায় ৪০ শতাংশ কমেছে। হটস্পট এলাকায় রাপিড অ্যান্টিবডি টেস্ট শুরু করা হচ্ছে।

হটস্পট এলাকায় লকডাউন কোনওভাবেই শিথিল করা হবে না। এসব এলাকায় আগের মতই স্বাস্থ্য পরিষেবা, ওষুধ ও অত্যাবশ্যক পণ্য বাদে সব বন্ধ থাকবে।

গত ২৪ ঘণ্টায় দেশের ৪৩ টি জেলায় কোনও করোনা সংক্রমণের খবর নেই। করোনার প্রকোপে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত তিনটি রাজ্য হল মহারাষ্ট্র, দিল্লি ও মধ্যপ্রদেশ।

দেশে এপর্যন্ত করোনা টেস্ট হয়েছে ৩ লক্ষ ৮৬ হাজার। শনিবার টেস্ট হয়েছে ৩৭,১৭৩।

হিউম্যান ট্রায়ালের জন্য পাঁচ ভ্যাকসিন-প্রার্থী, জানাল আইসিএমআর।

দেশে ৭৫৫ টি কোভিড ডেডিকেটেড হাসপাতাল ও ১৪০০ কোভিড কেয়ার সেন্টার তৈরি হচ্ছে।

২০ এপ্রিলের সীমিত ছাড়ের পরও প্রতিটি রাজ্যের সীমান্ত বন্ধ থাকবে। এক রাজ্য থেকে অন্য রাজ্যে বাস, ট্রেন, বিমান চলাচল সবই আগের মতই বন্ধ।

আটকে পড়া পরিযায়ী শ্রমিকরা এক রাজ্য থেকে অন্য রাজ্যে যেতে পারবেন না। তবে তারা যে রাজ্যে আটকে আছেন সেখানেই নিজেদের কর্মস্থলে গিয়ে কাজ যোগ দিতে পারেন বা নতুন কাজ খুঁজে নিতে পারেন। তবে তাদের যাতায়াত, খাদ্য ও থাকার ব্যবস্থা সংশ্লিষ্ট রাজ্য প্রশাসনকে করতে হবে। কর্মস্থলে যোগ দেওয়ার আগে সবার করোনা স্ক্রীনিং হবে।

লকডাউনের শর্ত শিথিল হলেও মাস্ক ব্যবহার ও সোশ্যাল ডিসট্যান্সিং মানতে হবে।

গ্রীণ জোনে শিল্প ও ম্যানুফ্যাকচারিং, নির্মাণ, কৃষিকাজ, ডেয়ারি, আংশিক অফিস ওয়ার্ক, ১০০ দিনের কাজ করা যাবে।

জাতীয় সড়কে টোল ট্যাক্স চালু হচ্ছে।

ই-কমার্স সংস্থাগুলির ক্ষেত্রে আগের নির্দেশে বদল। অত্যাবশ্যক নয় এমন পণ্য পরিবহন করা যাবে না। তবে অত্যাবশ্যক পণ্য পরিবহন অব্যাহত থাকবে।

হোটেল, রেস্টুরেন্ট, জিম, স্কুল, কলেজ, সামাজিক বা ধর্মীয় জমায়েত আগের মতই বন্ধ থাকবে।

Previous articleউহানে পাহাড়ের নীচে ভাইরাস ব্যাঙ্ক, জানেন কত ভাইরাস আছে?
Next articleকরোনা ভাইরাসের মোকাবিলায় আয়ুর্বেদ চিকিৎসায় ভরসা রাখছে শ্রীলঙ্কা