আলিপুরদুয়ারে কাদের প্ররোচনায় এই শেষকৃত্যে বাধার অশান্তি?

রাতুল বিশ্বাস

আলিপুরদুয়ারের এক কালোদিন????

লড়াই কার সাথে হবে? কোভিডের সাথে নাকি উস্কানি, সস্তা রাজনীতির সাথে?
গতরাতে_শালকুমারহাটের ছবি। গাড়ির পর গাড়ি পূড়ল। যে পুলিশ নিজদের পরিবার ছেড়ে আমাদের জন্য কাজ করছে, এমনকি দেশজুড়ে সংক্রামিত এলাকাতেও কাজ করছে,এমনকি দিনরাত কাজের পাশাপাশি রাজ্যজুড়ে রক্তের জোগান তারাই দিচ্ছে আর সেই পুলিশই আক্রান্ত হল গতরাতে। কিছু পুলিশ গভীর জলদাপাড়ার জংগলে পালিয়ে আশ্রয় নিল।
কিছু নেতা জলঘোলা করতে চাইছে সংকীর্ণ রাজনীতির স্বার্থে। গতকালের মৃত ব্যক্তি করোনা আক্রান্ত প্রমাণ এখনও আসেনি৷ গাইডলাইনটা একটু জানতে হবে, যেহুতু উপসর্গ নিয়ে মারা গেছে তাই সাবধানতাবশত পজিটিভ রুগীর মত একই নিয়মে তার শেষকৃত্য হবে এবং উপসর্গ ছিল বলেই পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হয়নি(লুকোতে চাইলে পরিবারকে দিয়ে দিতে পারত প্রশাসন)। এইক্ষেত্রে যেহুতু মৃতব্যক্তির ধার্মিক রীতি অনুযায়ী তাকে কবর দেওয়া নিয়ম তাই শিলতোর্ষার চড় আগে থেকেই চিহ্নিত ছিল। সন্ধ্যেয় মারা গিয়েছে বলেই রাতে যাওয়া হয়েছে। রাতের অন্ধকারে চুপিচাপির কোন গল্প নেই।
তবে হ্যা প্রশাসনের উচিৎ ছিল আগে হোমওয়ার্ক করে স্থানীয়দের সেনসাটাইজড করার।
গ্রামের মানুষকে উস্কিয়ে ভুল বোঝানো যেতেই পারে কিন্তু আমরা এই সংকীর্ণ মানসিকতা নিয়ে চললে লড়াই কার সাথে হবে?
যদিও কোন পজিটিভ মারা যায় তাহলে কি তার শেষকৃত্য কি কোন এলাকায় করা যাবেনা?
কী হবে তার শবদেহের????
যারা জলঘোলা করছেন তারা শুধু এই প্রশ্নটির উত্তর দিয়ে দিন।

Previous articleকোকাকোলার বেআইনি কীর্তি! ৩০০ কর্মীর চাকরি বাঁচাল সিটু
Next articleলকডাউনে কী কী বাড়তি ছাড় কেরালায়?