◾করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার গতিবিধিতে একটি বিষয় পরিষ্কার হয়েছে যে শহুরে এলাকাতেই করোনার প্রকোপ বেশি।
◾মুম্বই, দিল্লি, আমেদাবাদ, ইন্দোর, পুনে ও জয়পুর- দেশের এই ৬টি বড় শহর থেকেই ৪৫ শতাংশ আক্রান্ত ধরা পড়েছে।
◾শহরের হিসেব ধরলে শুধু মুম্বইতেই আক্রান্ত হয়েছেন ৩ হাজার ৪৫১ জন। মৃত ১৫। পরিস্থিতি সামলাতে মুম্বইয়ে কোয়ারেন্টাইনে শয্যা বাড়ানোর সুপারিশ করেছে কেন্দ্র। মন্ত্রকের দল ঘুরে গিয়েছে সেখানেও।
◾মুম্বইয়ের পর রয়েছে:
🔹দিল্লি- ২,১৫৬
🔹আমেদাবাদ- ১,২৯৮
🔹ইন্দোর- ৯১৫
🔹পুনে- ৬৬০
🔹জয়পুর-৫৩৭
◾এই ৬টি শহরের মোট আক্রান্ত ৯,০১৭।
◾স্বাস্থ্যমন্ত্রকের তথ্য বলছে, আক্রান্তের ৬০ শতাংশই মহারাষ্ট্র, গুজরাত, দিল্লি, রাজস্থান ও তামিলনাড়ুর বাসিন্দা। সে কারনেই ধারনা হচ্ছে শহর এলাকাতেই করোনার প্রকোপ বেশি।
◾তবে এই রোগ থেকে সেরে ওঠার হার এই মুহুর্তে কিছুটা স্বস্তিদায়ক।চিকিৎসায় সুস্থ হয়ে উঠেছেন ৩ হাজার ৯৫৯ জন। শতাংশের বিচারে তা প্রায় ১৯.৩৬।
◾সরকারি তথ্যে উদ্বেগজনক আর এক পরিসংখ্যান বিশেষজ্ঞদের
নজরে এসেছে। তা হলো, করোনা আক্রান্ত জেলার সংখ্যাও বেড়ে চলেছে। ভারতে মোট জেলার সংখ্যা ৭২০। গত ২ এপ্রিল ২১১টি জেলাতেই এই সংক্রমণ নিয়ন্ত্রিত ছিল।
◾পরবর্তী ২০ দিনে করোনা- আক্রান্ত জেলার সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৪৩০।
◾এর অর্থ, দেশের প্রায় ৬০ শতাংশ জেলায় থাবা বসিয়েছে করোনা।
◾করোনা সংক্রমণে এখনও সেভাবে লাগাম পরানো যাচ্ছে না। ওদিকে লকডাউনের চতুর্থ সপ্তাহ চলেছে। লকডাউনের কিছুটা সুফল অবশ্যই মিলেছে৷ কিন্তু করোনা এখনও সক্রিয়৷
◾চিন্তা বাড়ছে একটাই কারনে, দ্বিতীয় দফার লকডাউনে রোগীর সংখ্যা বাড়ছে৷ এই তথ্যই ভাবাচ্ছে স্বাস্থ্যমন্ত্রককে৷ পরিসংখ্যান যে ভয়াবহ তাতে সন্দেহ নেই।
◾সবচেয়ে ভয়াবহ ছবি মহারাষ্ট্রের। সেখানে ৫,২২১ জন সংক্রমণের শিকার। মৃতের সংখ্যা ২৫১।
◾আক্রান্তের সংখ্যার নিরিখে দিল্লিকে টপকে দ্বিতীয় স্থানে উঠে এসেছে প্রধানমন্ত্রীর রাজ্য গুজরাত।
◾সংক্রমণ ১৫০০ ছাড়িয়েছে মধ্যপ্রদেশ, রাজস্থান ও তামিলনাড়ুতে।
◾বিহার, উত্তরপ্রদেশ, অন্ধ্রপ্রদেশেও সংখ্যা বেড়েছে।
◾ নতুন করে সংক্রমণ ধরা পড়েছে কেরলেও। ওই রাজ্যে এখন আক্রান্তের সংখ্যা ৪২৭।
◾একমাত্র ব্যতিক্রমী ছবি সিকিম-এর। সেখানে এখনও পর্যন্ত একজনও আক্রান্ত ধরা পড়েনি।
◾হিমাচল প্রদেশেও কোনও নতুন আক্রান্তের খোঁজ মেলেনি।
◾এই সব কারনেই লকডাউন আরও বাড়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে।
◾আগামী ২৭ এপ্রিল মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে এই বিষয়ে আলোচনার জন্য ভিডিও কনফারেন্স করবেন প্রধানমন্ত্রী।
◾ইতিমধ্যেই আলাদা করে লকডাউন ৭ মে পর্যন্ত বাড়িয়ে দিয়েছে তেলেঙ্গানা।
◾জম্মু ও কাশ্মীরে দু’টি কোভিড-১৯ হাসপাতাল তৈরি করছে ভারতীয় সেনা।
◾ওদিকে,চিন থেকে আসা র্যাপিড টেস্ট কিট সমস্যা বাড়িয়েছে।
◾মোট ৭ লক্ষ কিট ভারতে পাঠিয়েছিল গুয়ানঝৌ ওন্ডফো বায়োটেক কো-লিমিটেড ও জুহাই লিভজন ডায়োগনস্টিকস আইএনসি।
◾কিটের রিপোর্টে গলদ থাকায় ICMR তদন্ত শুরু করেছে৷
◾রাজ্যগুলিকে এই চিনা কিটের ব্যবহার ২ দিন বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্র৷
◾ট্যুইটারে বিষয়টি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে চিনা দূতাবাস জানিয়েছে, তারা এব্যাপারে সবরকম সহযোগিতা করবে।