লকডাউন কার্যকর করতে গিয়ে এটা কি প্রাপ্য ছিল পুলিশের? জনতার হাতে এইভাবে নিগ্রহ আর গাড়ি ভাঙচুর!

হাওড়ার টিকিয়াপাড়ায় মঙ্গলবারের ঘটনা নিয়ে তীব্র প্রতিবাদ সর্বত্র।

লকডাউন না মেনে রাস্তায় বহুসংখ্যক মানুষের উপস্থিতি দেখে টহলদারি পুলিশ তাদের ঘরে ফিরতে বলে। অধিকাংশেরই ছিল না কোনো মাস্ক এবং দূরত্ব।

তাতেই পুলিশের উপর ক্ষেপে ওঠে জনতার একাংশ।
পুলিশকর্মীদের ঘিরে ধরে নিগ্রহ চলে।
ইঁটবৃষ্টি হয়।
পুলিশের গাড়ি ভাঙচুর হয়।
উপস্থিত raf জওয়ানদের লক্ষ্য করে ইঁট, পাথরবৃষ্টি হয়।

প্রশ্ন উঠেছে, কেন হবে এই অসভ্যতা?
পুলিশ তো আমাদের সবার ভালোর জন্যেই বলতে গেছিল। এটা তো পুলিশের আসল কাজ নয়। মানুষের ভালোর জন্য বলতে যাবে; আর সেই মানুষের হাতেই মার খাবে, এ কেমন কথা?

তবু পুলিশ পাল্টা তেমন কিছু করে নি।
জনতার হামলার মুখে পুলিশ যদি কাঁদানে গ্যাস বা গুলি চালাতো, তখন প্রচারে দোষ হত পুলিশের এবং সরকারের। raf দৌড়ে পালিয়েছে। কিন্তু সেটা তাদের দুর্বলতা নয়। সংঘাত এড়িয়েছে। এটা কবে বুঝবে জনতা???

লকডাউন কার্যকর করতে গিয়ে পুলিশের আক্রান্ত হওয়ার ঘটনা নতুন না। টিকিয়াপাড়া আবার এই বিতর্ক সামনে এনে দিল। তবু পুলিশ ও সরকার যথেষ্ট দায়িত্বশীল ভূমিকার পরিচয় দিয়েছে।

পরে রাজ্য পুলিশ জানিয়েছে টিকিয়াপাড়ার ঘটনায় জড়িতদের চিহ্নিত করে আইনমাফিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

কিন্তু, পুলিশের উপর এই অকারণ আক্রমণ থামাতে সচেতন তো হতে হবে সমাজের সকলকেই।

 

Previous articleবিশ্বব্যাপী লকডাউনে কমেছে দূষণ, বন্ধ হতে শুরু করেছে ওজোন স্তরের বিশাল গর্ত !
Next articleকরোনাকে হার মানিয়ে বাড়ি ফিরলেন শিলিগুড়ির আরও ৩ জন