রাজ্য সরকারের দুই তথ্যে গরমিল, বিভ্রান্তি তুঙ্গে

দুটোই রাজ্যের নথি৷ একটি নথি ( A ), রাজ্যের স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ দফতরের প্রিন্সিপাল সেক্রেটারি বিবেক কুমার কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যসচিব প্রীতি সুদানকে ৩০ এপ্রিল’২০ তারিখে যে চিঠি পাঠিয়েছেন, তার কপি৷ সঙ্গে তিনি নিজে যে নথি সংযুক্ত করেছেন, তার কপিও৷

অপরটি (B) রাজ্য সরকারের স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ দফতর প্রকাশিত ওই তারিখ, অর্থাৎ ৩০ এপ্রিল’২০-এর কোভিড-বুলেটিন৷

 

প্রথমটিতে অর্থাৎ ( A ) নথিতে ৩০ এপ্রিল, বৃহস্পতিবার বিবেক কুমার যে চিঠি কেন্দ্রকে পাঠিয়েছেন, তাতে বলা হয়েছে, এখনও পর্যন্ত এই রাজ্যে ৯৩১ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। অরেঞ্জ ও রেড জোনে আক্রান্তের সংখ্যা এখানে বলা হয়েছে যথাক্রমে ১১০ এবং ৮২১, যোগ করলে দাঁড়াচ্ছে উল্লেখিত তারিখে এ রাজ্যে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা মোট ৯৩১ জন ৷
অর্থাৎ রাজ্যের তরফে কেন্দ্রকে জানানো হয়, ওই তারিখ পর্যন্ত রাজ্যে মোট ৯৩১ জনের শরীরের নমুনা পরীক্ষা করে কোভিড-১৯ পজিটিভ পাওয়া গিয়েছে।

দ্বিতীয়টি অর্থাৎ ( B ) নথিটি ওই একই তারিখের
রাজ্য সরকারের স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ দফতর প্রকাশিত বুলেটিনে বলা হয়েছে, রাজ্য উল্লেখিত তারিখে সক্রিয় করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৫৭২ ৷
ওইদিন নবান্নে রাজ্যের মুখ্যসচিব রাজীব সিনহা নিজেই জানিয়েছিলেন, এই মুহূর্তে রাজ্যে সক্রিয় করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৫৭২। অর্থাৎ রাজ্যের তরফে সাধারন মানুষকে জানানো হয়, ওই তারিখ পর্যন্ত রাজ্যে মোট ৫৭২ জনের শরীরের নমুনা পরীক্ষা করে কোভিড-১৯ পজিটিভ পাওয়া গিয়েছে।

সরকারি স্তরের দু’ধরনের নথি প্রকাশ্যে আসায় প্রশ্ন উঠেছে, তাহলে প্রকৃত তথ্য কোনটি? সরকারিস্তরে দু’ধরনের তথ্য কেন ? কে ঠিক বলছেন, রাজ্যের মুখ্যসচিব রাজীব সিনহা ? না’কি, রাজ্যের স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ দফতরের প্রিন্সিপাল সেক্রেটারি বিবেক কুমার ?

না’কি, গোটা বিভ্রান্তি তৈরি হয়েছে লেখার ভুলে ?

তাছাড়া, বিবেক কুমার যে তথ্য কেন্দ্রের কাছে পাঠিয়েছেন, তাতে স্পষ্ট হয়েছে, যে কলকাতার করোনা-পরিস্থিতি কার্যত ভয়াবহ৷ অথচ সরকারিস্তরে এই তথ্য এখনও প্রকাশ করা হয়নি৷ সরকারের এই দু’ধরনের তথ্য, ধন্দ তথা বিভ্রান্তি বাড়ানোর পাশাপাশি আতঙ্কও বৃদ্ধি করছে বলে বিশেষজ্ঞদের বক্তব্য৷

Previous articleভিনরাজ্যে আটক? নবান্নের হেল্পলাইন জেনে নিন
Next articleকোন জোনে আপনি, দেখে নিন