কোভিড ওয়ারিয়রদের জন্য ১০ লক্ষ টাকা স্বাস্থ্যবিমা ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর, সাংবাদিকদের ক্যাটাগরি নিয়ে ধোঁয়াশা

মারণ ভাইরাস কোভিড-১৯’র বিরুদ্ধে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে যাঁরা ফ্রন্ট লাইন থেকে লড়াই করছেন, সেই সকল করোনা বিরোধী যোদ্ধাদের জন্য আজ, রবিবার ১০ লক্ষ টাকার স্বাস্থ্যবিমা ঘোষণা করল রাজ্য সরকার।

এই যোদ্ধাদের মধ্যে আছেন চিকিৎসক, নার্স, স্বাস্থ্যকর্মী বা সাফাইকর্মী থেকে শুরু করে সাংবাদিকরাও। রবিবার “বিশ্ব প্রেস ফ্রিডম ডে” বা “সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা দিবস” উপলক্ষ্যেই স্বাস্থ্যবিমায় সাংবাদিকদেরও সংযুক্ত করল রাজ্য সরকার।

এদিন নিজের টুইটার হ্যান্ডলে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় লেখেন, “‘বাংলায় আমাদের সরকার সাংবাদিক-সহ কোভিড–১৯’র সামনের সারির সব যোদ্ধাদের জন্য ১০ লক্ষ টাকার স্বাস্থ্যবিমা ঘোষণা করল। আমরা সাংবাদিকদের সম্মান করি এবং বাংলায় আমাদের সরকার তাঁদের জন্য অনেক পদক্ষেপ নিয়েছে।”

একইসঙ্গে সাংবাদিক এবং চিত্র সাংবাদিকদের অভিনন্দন জানিয়ে মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, যেহেতু গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভ সংবাদমাধ্যম তাই তাঁদের অকুতোভয় হয়ে কর্তব্য পালন করতে হবে।

তবে একটা বিষয়ে ধোঁয়াশা থেকেই যাচ্ছে। সাংবাদিক বা চিত্র সাংবাদিক বলে যাঁদের উল্লেখ করা হচ্ছে, তাঁরা ঠিক কোন ক্যাটাগরির তার স্পষ্ট উল্লেখ নিয়ে এই ধোঁয়াশা। তাঁরা কি সকলেই সরকারি কার্ডধারী, নাকি কার্ড নেই এমন সাংবাদিক ও চিত্র সাংবাদিকরাও সরকারের এই প্রকল্পের আওতায় আসবেন?

কারণ, খুব মুষ্টিমেয় সাংবাদিকদেরই সরকারি কার্ড আছে। কিন্তু করোনা সঙ্কটের মধ্যে আরও অনেক সাংবাদিক বা চিত্র সাংবাদিক কাজ করছে, যাঁদের সেই কার্ড নেই। এবং কার্ড না থাকা সাংবাদিকের সংখ্যাটাই বেশি। সোশ্যাল মিডিয়ার দৌলতে এই কঠিন সময়ে টাটকা খবরে সবচেয়ে বেশি এগিয়ে আছে ওয়েব পোর্টালগুলি। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত তাদেরই কোনও সরকারি স্বীকৃতি নেই। তাহলে এই সকল সংস্থায় কাজ করা সাংবাদিক ও চিত্র সাংবাদিকরা কি সরকারি সুবিধা থেকে বঞ্চিত হবেন। এই প্রশ্ন কিন্তু সাংবাদিক মহলেই ঘুরপাক খাচ্ছে।

Previous articleকেমন করে কাটতে হবে শ্রমিক ট্রেনের টিকিট
Next articleBIG BREAKING: কথা রাখলেন মুখ্যমন্ত্রী, ২৫০০ পরিযায়ী নিয়ে রাজ্য আসছে দুটি বিশেষ ট্রেন