কোয়ারান্টাইন থেকে মুক্তি পাচ্ছে প্রায় ৪ হাজার তাবলিগি জামাত সদস্য

গত মার্চ থেকে কোয়ারান্টাইনে থাকা প্রায় ৪ হাজারেরও বেশি তাবলিগি জামাত সদস্যকে মুক্তি দিতে চলেছে দিল্লি সরকার৷

করোনা পরিস্থিতির মধ্যেই তাবলিগি জামাত মার্চ মাসে দিল্লির নিজামুদ্দিনে একটি ধর্মীয় জমায়েত করে৷ অভিযোগ ওঠে ওই ধর্মীয় সমাবেশ থেকেই করোনা ভাইরাস বেশি করে ছড়িয়েছে৷ তখনই বলা হয়, তাবলিগি জামাত সদস্যরাই বাহক হিসাবে ওই ভাইরাস ছড়িয়ে দেয় দেশজুড়ে৷ সেই সময়েই করোনা আক্রান্ত সন্দেহে ৪ হাজারেরও বেশি জামাত সদস্যকে কোয়ারান্টাইনে রাখা হয়৷ সংক্রমণ ছড়ানোর আশঙ্কাতেই বাধ্যতামূলক ভাবে এদের কোয়ারান্টাইনে রেখেছিল দিল্লি সরকার। ওই কোয়ারান্টাইনের মেয়াদ শেষ হওয়ায় এখন তাঁদের মুক্তি দেওয়ার ঘোষণা করলেন দিল্লির স্বাস্থ্যমন্ত্রী সত্যেন্দ্র জৈন।

জানা গিয়েছে, কোয়ারান্টাইনে থাকা জামাত সদস্যদের কারোর মধ্যেই করোনা সংক্রমণের কোনও লক্ষণ দেখা না যাওয়াতেই তাঁদের বাড়ি ফিরিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দিল্লি সরকার।

পাশাপাশি দিল্লির স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেছেন, মার্চ মাসে ওই ৪ হাজার সদস্যের মধ্যে ‘মার্কাজ’ নিজামউদ্দিনের ঘটনায় জড়িত সন্দেহে পুলিশের তালিকায় যে জামাত সদস্যদের নাম রয়েছে, তারা মুক্তি পাবেন না৷ কোয়ারান্টাইন কেন্দ্র থেকেই তাদের পাঠানো হবে পুলিশ হেফাজতে।

কোয়ারান্টাইন সেন্টার থেকে যাঁরা মুক্তি দেওয়া হচ্ছে তাঁদের প্রায় ৯০০ জন দিল্লির বাসিন্দা। বাকিদের বেশিরভাগই হয় তামিলনাড়ু ও তেলেঙ্গানার বাসিন্দা।

ওদিকে, চাপ বাড়ানো হচ্ছে তাবলিগি জামাতের প্রধান মৌলানা সাদের উপরে৷ তাঁর ছেলেকে ইতিমধ্যেই জিজ্ঞাসাবাদ করেছে ইডি৷ তাবলিগি জামাতের প্রধান মৌলানা সাদকে নোটিশ দেয় দিল্লি পুলিশের অপরাধ দমন শাখা। তাঁর কাছে জানতে চাওয়া হয়, তিনি সরকারি হাসপাতালে গিয়ে করোনার পরীক্ষা করিয়েছেন কিনা। আর যদি করিয়ে থাকেন, তাহলে এখনও কেন সেই রিপোর্ট জমা দেননি অপরাধ দমন শাখায়। ওই রিপোর্ট হাতে পেলে তা খতিয়ে দেখে তবেই সাদের বিষয়ে পরবর্তী তদন্তের কাজ শুরু করা হবে। পাল্টা মৌলানা সাদ দাবি করেন, তিনি ২ বার করোনা পরীক্ষা করিয়েছেন। দু’বারই পরীক্ষার ফলাফল নেগেটিভ এসেছে।

Previous articleমাস্ক পরে সামাজিক দূরত্ব মেনে বিয়ে! জীবনের নতুন ইনিংসে পুলিশকে কৃতজ্ঞতা নব দম্পতির
Next article‘আজকাল’-এ এবার দমননীতির অভিযোগ আনলেন কর্মীরা