বাম কংগ্রেস কেন্দ্র-রাজ্য উভয়ের সমালোচনায়, দিলীপ বললেন শাক দিয়ে মাছ ঢাকা যায় না

কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রসচিবের কড়া চিঠি রাজ্যের মুখ্যসচিবকে। আর সে নিয়ে রাজনৈতিক মহল উত্তপ্ত। বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, মৃত্যুতে এগিয়ে, আক্রান্তের নিরিখে এগিয়ে। আবার রোগ প্রতিরোধে পিছিয়ে! এটা তো হওয়ার কথা ছিল না। আমরা যা বলছিলাম চিঠিতে তারই প্রতিফলন। করোনা নিয়ে রাজনীতি না করে রাজ্য সরকারের উচিত বেশি করে টেস্ট করানো, লকডাউন মানা এবং যথাযথ চিকিৎসা করা। রাজ্য সরকারের বোঝা উচিত শাক দিয়ে মাছ ঢাকা যায় না। বিজেপির রাজ্য সম্পাদক সায়ন্তন বসু বলেন, সরকার তথ্য লুকোচ্ছে সবাই বুঝতে পারছে। যারা আসল তথ্য সোশ্যাল মিডিয়ায় দিচ্ছে তাদেরকে ধরে জেলে পুড়ছে। আর তার পরিবর্তে এলাকায় দেড় হাজারের বেশি লোককে নিয়ে মিছিল করে করে সংক্রমণ বাড়াছে পুলিশ প্রশাসন। এখানে যে লাশের হিসাব নেই তা ওদের দেওয়া তথ্যই বলছে। এটাই হলো এ রাজ্যের বাস্তব চিত্র। সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী বলেন, আমি কাকে দোষ দেব? দুজনেই সমান দোষী। কেন্দ্র-রাজ্য উভয়েই। টাকা দিতে ব্যাঙ্কের লাইনে দাঁড়াতে বাধ্য করছে কেন্দ্র, বাড়ি বাড়ি না দিয়ে রেশনের দোকানে লাইন দিতে করছে কেন্দ্র-রাজ্য, মদের দোকানে লাইন দিতে যে ছাড় দিলো কেন্দ্র-রাজ্য। মানুষ এক জায়গায় জড়ো হচ্ছে রোজ। হাসপাতালে বাস্তবিক চিকিৎসা হচ্ছে না। পরিস্থিতির কী তা যারা হাসপাতালে গিয়েছেন তারা বুঝতে পারছেন। ফলে কাকে ছেড়ে কাকে দোষ দেব? কংগ্রেস সংসদ প্রদীপ ভট্টাচার্য বলেন, আমি এই চিঠির পরিপ্রেক্ষিতে আগে কাঠগড়ায় তুলব কেন্দ্রকে। কারণ, পশ্চিমবঙ্গের যদি এই অবস্থা হয় তাহলে কেন্দ্র কেন বসে বসে দেখছে? আমি তো বলব স্বরাষ্ট্র দফতরের পার্লামেন্টারি কমিটির বৈঠক এখনই ডাকা হোক। সেখানে বুঝিয়ে দেবো করোনাকে সামনে রেখে কীভাবে কেন্দ্র রাজনীতি করছে। আর যে অভিযোগ রাজ্যের বিরুদ্ধে তোলা হয়েছে সে অভিযোগ আমরা বহুদিন থেকেই জানিয়ে আসছিলাম।

Previous articleকরোনার দ্বিতীয় দফায় দাপট শুরু হতে পারে বর্ষায়! জানাচ্ছেন বিজ্ঞানীরা
Next articleমিটার দেখতে আসবে না কেউ! তবে বিদ্যুতের বিল আসবে কীভাবে