জীবন আপনার, তাই সাফল্যের উপকরণ দেওয়ার দায়িত্বও আপনার

কামাল হোসেন

কামাল হোসেন

দিনগুলো খারাপ যাচ্ছে কিন্তু জীবন এখনো খারাপ হয়নি। জীবনের কোন বাঁকে নিয়তি যে কি নিষ্ঠুর উপহার সাজিয়ে রেখেছে তা মানুষ দুঃস্বপ্নেও কল্পনা করতে পারেনা। এই লকডাউনে বড় বিচিত্র অভিজ্ঞতা হচ্ছে মানুষের। নানা দুঃখ-কষ্ট ,কান্না, অভাব-অনটন, সাংসারিক অস্বস্তির বিবর্ণ তুলি দিয়ে ঈশ্বর মানুষের জীবনের বর্তমান ইচ্ছাগুলো কে বর্ণহীন করে রেখেছে। কত না সমস্যা, প্রতিবন্ধকতার দুর্গম গিরি অতিক্রম করতে করতে মানুষ অপেক্ষা করছে সুখের ছবি আঁকতে। পৃথিবীর নিরবতার মাঝে সব মানুষের কর্ম গুলো স্তব্ধ হয়ে আছে। অনেকেই বৃষ্টি ভেজা চোখে অবুঝ মন নিয়ে শুধু খুঁজে বেড়াচ্ছে হারিয়ে যাওয়া সুন্দর বর্তমানটাকে। কিন্তু তবুও আমাদের জীবনে থাকে সুখ দুঃখের সহবস্থান এবং সক্রিয় ও নিষ্ক্রিয়তার মেলবন্ধন। এমন অবস্থার মধ্যে এই রাজ্যের চাকরির পরীক্ষার্থীরাও সমস্ত দমবন্ধ অস্বস্তিকর বেকার জীবনের গুমোট পরিবেশ দূর করে বিশ্বাস ও ভরসার সকার জীবনের দখিনা বাতাস প্রবেশ করানোর জন্য অপেক্ষায় আছে। কিন্তু এটা নিশ্চিত ধর্মগ্রন্থ অনুযায়ী কোন একদিন সুখের বায়ুর স্পর্শে মনের সমস্ত ঘুমন্ত আশা-আকাঙ্ক্ষাগুলো জাগ্রত হয়ে উঠবে, আর চাকরির পরীক্ষা হবে ঘরবন্দি দূরীভূত হলে – এই বাস্তবের ছোঁয়া পেলে সবাই সুস্থ হয়ে উঠবে। চাকরি প্রার্থীদের পাঁচ বছরের হাকারের মরুভূমিতে হঠাৎ করে একপশলা আশা-ভরসা নিয়ে আসল কয়েক মাসে স্কুল সার্ভিস এর নতুন নিয়ম পদ্ধতির বিজ্ঞপ্তি, টেট এর রেজাল্ট, পিএসসি-এর পরীক্ষা ও ফলাফল। চাকরিপ্রার্থীরা প্রস্তুতির মধ্যে ঢুকতে শুরু করার প্রাক্কালে করোনা ভাইরাসের এই প্রকল্পে সারা ভারতে শুরু হলো লকডাউন।

উপরের এই সব পরীক্ষাগুলো হয়তো বা আর এক মাসের মধ্যে হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু তাই বলে এই নয় যে এই পরীক্ষাগুলো পশ্চিমবঙ্গে আর কোনদিন হবে না। আপনি হয়তো বা চাকরির পরীক্ষা দিতেন এবং সফল হতেন কয়েক মাসের মধ্যে কিন্তু এটা নিশ্চিত থাকবেন এবার আপনার চাকরির পরীক্ষা দিতে এবং সফলতা লাভ করতে একটু দেরি হয়ে যাবে মাত্র কিন্তু জীবনে যে চাকরি পাবেন না সেটা তো একেবারে ঠিক না।

তাই এই ঘরবন্দী অবস্থায় যদি আপনি আশা হারিয়ে জীবন থেকে মুখ ফিরিয়ে নেন তাহলে জীবন ব্যর্থতার মধ্যে হাবুডুবু খাবে।

প্রতিবন্ধকতা থাকবেই কিন্তু জীবনে একটি নির্দিষ্ট পরিকল্পনা প্রয়োজন। পরিকল্পনা ছাড়া কোনো মানুষই নির্দিষ্ট লক্ষ্যে পৌছাতে পারেনা। আর এই পরিকল্পনা হল এখন থেকে হাতের কাছে যেগুলো আছে সেগুলো নিয়ে পড়াশোনা শুরু করা। যতটুকু পারবেন প্রতিদিন ততটুকু করে পড়ুন। কোন কোন সময় লিখুন। আবার কোন কোন সময় নিজে ঘরে বসে পরীক্ষা দিন। আর আপনার এখনকার প্রস্তুতি কিছুদিন পরে সফলতার স্বাদ দেবেই দেবে। এই অবস্থায় যে সমস্ত চাকরির পরীক্ষার্থীর আশা-আকাঙ্ক্ষা নেই, তারা জয়ের পূর্বেই পরাজিত হবেই। এই প্রতিকূল পরিস্থিতির মধ্যে যে চাকরির পরীক্ষার্থী নিজের আশা-আকাঙ্ক্ষা কে সম্মান করবে সেই কিন্তু তার আশা-আকাঙ্ক্ষা তে বাস্তব রূপ দিতে এখন থেকে প্রত্যহ নিরলস প্রচেষ্টা চালিয়ে সংগ্রাম করে চলবে আর তবেই সে হবে জীবন যুদ্ধে জয়ের সফল সৈনিক।

প্রতিটি খারাপ মুহূর্ত পরীক্ষার্থীদের ভালো হওয়ার শিক্ষা দেয়। যারা খারাপ মুহূর্তগুলোর জন্য অনুশোচনা করে না এবং যাতে খারাপ মুহূর্ত বাস্তবিক জীবনে আবার অন্তরে হানা না দেয় তার জন্য নিজের বিবেককে সংশোধন করে না, তাদের বর্তমান ,অতীত ও ভবিষ্যৎ একই সরলরেখায় চলবে অর্থাৎ এই লক ডাউন তাদের বর্তমান এবং ভবিষ্যতের অভিশাপ হয়ে থাকবে।

তাই সাহস ও পরিশ্রম নিয়ে বইগুলো আঁকড়ে ধরে সামনে চলুন, দেখবেন আপনার পথ আপনি নিজেই করে নিয়েছেন। বিজ্ঞপ্তি বার হলে অন্যেরা যেখানে কিছুদিন পরে হেরে যাবে ,তখন পরিশ্রমী এবং সাহসী ছিলেন বলে আপনি জিতে যাবেন। কিছু কিছু চাকরির পরীক্ষা এই বাংলায় হচ্ছিল। হয়নি স্কুল সার্ভিস বা প্রাইমারি টেট পরীক্ষা। রাজ্য ও কেন্দ্রের প্রতি মাসে মাসে কিছু পরীক্ষা হচ্ছিল ।

কিন্তু বিগত বছরগুলো কিছু সামঞ্জস্যহীন চিন্তাভাবনা এবং আত্ম অবহেলা আপনাকে আটকে রেখেছিল অসফলতার গভীর হতাশায়। তাই আপনার চৈতন্য সত্তার শিক্ষাটি উজ্জ্বল করে আশায় বুক বেঁধে চাকরির পরীক্ষার প্রস্তুতির মধ্যে আপনার আত্মার নবজাগরণ ঘটাতে হবে এই ঘর বন্দী অবস্থায়। উদ্যমহীন হতাশাময় জীবনের অঙ্গার স্তুপে প্রস্তুতির দীপশিখা জ্বালিয়ে দিতে হবে আপনার অন্তর আত্মা কে। এই নতুন চেতনা আপনার লাঞ্চিত জীবনে বয়ে নিয়ে আসবে আশা আনন্দ ও মুক্তির সোনালি ভবিষ্যৎ শুধু সময়ের অপেক্ষা মাত্র।

বাড়িতে বসে পড়াশোনা করার সময় দেখবেন যেগুলো খুব কঠিন বলে মনে হচ্ছে, বা যেগুলো বারবার পড়ছেন কিন্তু মনে থাকছে না সেগুলো স্পেশাল বৈশিষ্ট্য দিয়ে পড়বেন তবে একবার পড়লে সারা জীবন মনে থাকবে।

যেমন — কেন্দ্রীয় পরিবেশ দূষণ গবেষণাগার কোথায়?
উত্তর – নাগপুর।

স্পেশাল বৈশিষ্ট্য সহ কৌশল:

করোনা ভাইরাসের জন্যে বা অন্য কোনো কারণে বায়ুতে দূষণ হয়।ভাইরাস,ধুলো,জীবাণু থেকে রক্ষা পেতে আমরা মাস্ক পরি।এখন প্রত্যেক নাগরিকের নাকে মুখে মাস্ক দেখি।কারণ দূষণ থেকে মুক্ত হতে নাক আটকাই।
এই নাক থেকে মনে রাখুন সহজে নাগপুর।

Previous articleব্রেকফাস্ট নিউজ
Next articleলকডাউনের জেরে ঘরে থেকেই ‘বুদ্ধ পূর্ণিমা’ উদযাপন বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের