চাকরি খাওয়ার পরিকল্পনা বিজেপি অফিসে না আদালতের বারান্দায়? সিবিআই তদন্তের দাবি তৃণমূলের

কুণাল ঘোষ সাফ বলেন,যে বিজেপি নেতারা চাকরি যাওয়ার কথা বলছেন আর যে বিচারকদের হাত দিয়ে রায় বেরোচ্ছে তাদের মধ্যে কোনও যোগাযোগ আছে কিনা তার সিবিআই তদন্ত হওয়া উচিত।

বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু বলেছিল ধামাকা হবে। মহামান্য কলকাতা হাইকোর্টের একটি রায়ে ২৬ হাজার জনের চাকরি গিয়েছে।এবার ওন্দার বিধায়ক অমরনাথ শাখা বলছেন, সামনের দিন আসছে আরও ৫৯ হাজার জনের চাকরি যাবে ৩০ তারিখ মান্থার আদালতে। তাহলে কোথায় বসে চাকরি খাওয়ার পরিকল্পনা হচ্ছে? বিজেপি অফিসে না আদালতের বারান্দায়? প্রশ্ন তুলল তৃণমূল নেতৃত্ব।
বৃহস্পতিবার তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ সাফ বলেন,যে বিজেপি নেতারা চাকরি যাওয়ার কথা বলছেন আর যে বিচারকদের হাত দিয়ে রায় বেরোচ্ছে তাদের মধ্যে কোনও যোগাযোগ আছে কিনা তার সিবিআই তদন্ত হওয়া উচিত।

কুণাল বলেন, বিজেপি বলে দিচ্ছে আগে, তার পর কোর্টে চাকরি যাচ্ছে। বিজেপির অফিস থেকে টাইপ করে কি আদালতে অর্ডার যাচ্ছে?অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়কে আমরা দেখেছি বিচারপতি থাকাকালীন বিজেপির সঙ্গে আলোচনার দরজা খুলে রেখে তিনি বিজেপির প্রার্থী হতে গিয়েছেন। আসলে চাকরি যাওয়ার একটা পৈশাচিক উল্লাস বিজেপি নেতাদের মধ্যে। নরেন্দ্র মোদি সরকার চাকরি দেয়নি কিন্তু চাকরি নেওয়ার খেলায় মেতেছে। এখানকার বিজেপি নেতারা আগাম বলে দিচ্ছেন চাকরি যাওয়ার কথা, আর তাদের সঙ্গে গলা মেলাচ্ছে সিপিএম কংগ্রেস। নিয়োগ নিয়ে কিছু ভুল কাজ হয়েছিল। যাঁরা শাস্তি পাওয়ার পাক। জট খোলার চেষ্টা হয়েছিল। কিন্তু বিজেপি রাজনীতি করছে।এদিন তিনি আরও বলেন,কত জন যোগ্য প্রার্থীর চাকরি নেওয়া হয়েছে। প্যানেলে যাঁরা রয়েছেন, তাদেরও চাকরি গিয়েছে। যাদের কোনও গোলমাল নেই, তাদের চাকরি খাচ্ছে আদালত। এটা অবিচার। কেউ কেউ বলছে আবার একটা মামলা আসছে, আরও চাকরি যাবে।

শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু বলেন, আগে থেকে আগাম ঘোষণা করে চাকরি যাওয়ার কথা বলেছিল বিজেপি। বিরোধী দলনেতা এবং ওন্দার বিজেপি বিধায়ককে উল্লাস করতে দেখা গিয়েছে এ নিয়ে। এত মানুষের চাকরি চলে গেল, যেন কত আনন্দের কথা! অযোগ্যদের চিহ্নিত করে এসএসসির তরফে তালিকা আদালতে জমা দেওয়া হয়েছিল বলে জানিয়েছেন এসএসসির চেয়ারম্যান। আদালত ধরে নিচ্ছে ‘সুপারনিউমেরিক’ পদ তৈরি করে অযোগ্যদের চাকরি পাইয়ে দেওয়ার চেষ্টা হয়েছে। এর আগে আদালত একবারও আমাদের জিজ্ঞাসা করেনি যে কেন ওই পদ তৈরি করা হল। আমরা যদি ‘অপরাধী’ হই, তা হলে আমাদেরও আত্মপক্ষ সমর্থনের জায়গা থাকা উচিত। আদালতের ধরে নেওয়া থেকে রায় শোনানো হচ্ছে। তিনি বলেন, এই ছেলেমেয়েগুলিকে বলির পাঁঠা ভাবছে বিজেপি। এদের জন্য কোনও দরদ নেই ওদের। দরদ আছে শুধু মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, যোগ্যদের জন্য তিনি যতদূর যাওয়ার যাবেন। ৮ শতাংশ অযোগ্য, যোগ্য ৯২ শতাংশ।এখন থেকে যে এসএসসি পরীক্ষা হবে, তার ওএমআর ১০ বছর সংরক্ষিত রাখা হবে। সাংবাদিক বৈঠকে জানালেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য।

এদিন তিনি জানান, বুধবারই সুপ্রিম কোর্টে স্পেশাল লিভ পিটিশন দাখিল করেছে এসএসসি। উচ্চ আদালতের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে শীর্ষ আদালতে গিয়েছে রাজ্য সরকারও। শীর্ষ আদালতে পৃথক ভাবে মামলা করেছে রাজ্যের শিক্ষা দফতর, এসএসসি এবং মধ্যশিক্ষা পর্ষদ।




 

Previous articleবাল্টিক সাগরের উপরে পৌঁছতেই ভ্যানিশ বিমানের সিগন্যাল! তারপর…
Next articleনন্দীগ্রাম আন্দোলনের সময় লুকিয়ে ছিল ‘পিতা-পুত্র’! তমলুকে দাঁড়িয়ে তোপ তৃণমূল সুপ্রিমোর