ভাইরাসের রূপান্তর বন্ধ হলে সংক্রমণ রোখা সম্ভব, মত অধ্যাপিকা ললিতার

করোনা সংক্রমণ থেকে কীভাবে বাঁচা যায় তার উপায় খুঁজতে ব্যস্ত গবেষকরা। এদিকে একাংশের গবেষকদের বক্তব্য, ভাইরাস তার চরিত্র বদল করছে ক্রমাগত। এরইমধ্যে ভাইরাসের চরিত্র বদলানোর প্রক্রিয়া বন্ধ করার কথা বললেন এক গবেষক। হায়দরাবাদ বিশ্ববিদ্যালয়ের ওই অধ্যাপিকার মতে, এই প্রক্রিয়া বন্ধ করতে পারলেই সংক্রমণ রোখা সম্ভব হবে।

হায়দরাবাদ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপিকা ললিতা গুরুপ্রসাদ করোনাভাইরাসের সেই নির্দিষ্ট বৈশিষ্ট্যগুলি শনাক্ত করেছেন। বারবার চরিত্র বদলে মানুষের শরীরে সংক্রমণ বাড়াচ্ছে এই ভাইরাস। অধ্যাপিকা জানান, স্পাইক’ প্রোটিনের জন্য করোনাভাইরাস  মুকুটের মতো দেখতে হয়। এই স্পাইক প্রোটিন মানুষের রিসেপ্টারের সঙ্গে যুক্ত হয়। রূপান্তরের সময়ে করোনভাইরাস জিনোম এবং স্পাইক প্রোটিনগুলিতে পরিবর্তন ঘটে। গুরুপ্রসাদ জিনোম এবং স্পাইক প্রোটিনের বিন্যাসগুলি বিশদে বিশ্লেষণ করেছেন।

ললিতা গুরুপ্রসাদ জানান, একমাত্র সারস করোনাভাইরাসের স্পাইক প্রোটিনের বিন্যাসের নির্দিষ্ট তিনটি অঞ্চল এবং একটি সেতু মানুষের রিসেপ্টরে সঙ্গে যুক্ত হতে পারে। অথচ বাদুড়ের শরীরে যে ভাইরাস মিলেছে তার বিন্যাস আলাদা। ফলে এটা স্পষ্ট যে ভাইরাস তার চরিত্র বদলাচ্ছে। এই বদল রুখলে করোনা সংক্রমণ আয়ত্তে আসবে।

Previous articleএকনজরে বাংলার করোনা আপডেট
Next articleসামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে সুরা-প্রেমীরা ঘরে বসে যেভাবে হাতে পাবেন মদ