আজকাল: শাস্তিপ্রাপ্তদের পাশে কর্মী, বহু প্রাক্তনী

আজকাল পত্রিকা ঘিরে জট চলছেই।

বেতন কাটার বিরুদ্ধে আন্দোলনকারী কয়েকজনকে সাসপেন্ডের খবর শুনে তাদের পাশে দাঁড়াচ্ছেন বাকিরা।
ইউনিয়ন সম্পাদক দেবাশিস দত্ত বলেন,” বহু কর্মী ও প্রাক্তনী যোগাযোগ করে বলছেন এই খবর যদি সত্যি হয়, সাসপেনশনের জন্য বেতন কমানো হয়, তাহলে আমরা এঁদের পাশে সাধ্যমত থাকব।”

দেবাশিস বলেন,” চলতি সঙ্কটে আর্থিক চাপ আছে ঠিক। কিন্তু অন্য হাউসের সঙ্গে আজকালের তফাৎ অনেক। আজকালে কর্মীদের উপর কোপ দেওয়া এড়ানো সম্ভব। করোনা আবহের সঙ্গে আজকালকে মিশিয়ে গুলিয়ে দেওয়া হচ্ছে। আমরা বিকল্প প্যাকেজ ম্যানেজমেন্টের সামনে রাখতে চাই। অশোক দাশগুপ্ত আর সত্যম রায়চৌধুরী স্বীকৃত ইউনিয়নকে একটু সময় দিলেই বৈঠক ফলপ্রসূ হবে। তার বদলে অমানবিক নীতি ও দমনপীড়ন চলছে। এটা কাম্য নয়।”

এদিকে জানা গেছে সম্পাদক অশোক দাশগুপ্ত এই পরিস্থিতিতে ইস্তফার কথা ভেবেছেন। সত্যমবাবুর ঘনিষ্ঠমহল সূত্রে জানা গিয়েছে করোনার অস্থিরতা কাটলে অশোকবাবু সরে যেতে পারেন বলে ইঙ্গিত দিয়েছেন। যদিও সত্যমবাবুর শিবির তাতে সাড়া দিচ্ছেন না। কারণ শাসকশিবিরকে ঠিক রাখতে অশোকবাবুর বিজেপিবিরোধী কলমের গুরুত্ব আছে। কর্তৃপক্ষ সূত্রের খবর, এসব জল্পনা সাময়িক। কোথাও কোনো রদবদল হবে না। ইউনিয়নের সমস্যাও নিয়ন্ত্রণে চলে আসছে।

ইউনিয়নের প্রশ্ন, যুগে যুগে সরকারপন্থী হওয়ার সব সুযোগ নিয়ে, মাঝেমধ্যেই সঙ্কটের ইস্যুতে বহু ব্যক্তির কাছ থেকে টাকা নিয়েও আজকালে এই আর্থিক সমস্যা কাটে না কেন? গলদ কোথায়? সরকার জমি দেয়। সেই জমি অন্য কাজে ব্যবহার করা হয়। তারপরেও সঙ্কটের গল্পে কর্মীদের বেতনে হাত পড়ে। তাহলে বারবার যার বা যাদের হাতে এই ঘটনা ঘটছে, তাদের হাতে আজকাল কতটা নিরাপদ? কারণ যত সাহায্যই আসুক, আবার তো একই গল্প আসবে। বস্তুত সত্যমবাবুর ঘনিষ্ঠমহলও আজকালে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে এই বিষয়টি সত্যমবাবুর নজরে এনেছিল বলে খবর।

কর্মী ইউনিয়ন কোনো সংঘাত চায় না। তারা মনে করে আজকালের যা সম্পদ ও আর্থিক কাঠামো, তাতে বিকল্প পদ্ধতিতে কর্মীদের উপর কোপ ছাড়াই করোনাসংকটের মোকাবিলা করা যেত।

কর্তৃপক্ষ সূত্রের খবর, তাঁরা এখন বেতন কাটলেও ভবিষ্যতে তা পুষিয়ে দেওয়া যায় কি না, খতিয়ে দেখছেন।

Previous articleতাঁর আবেদনেই বাংলার জন্য আটটি ট্রেন বরাদ্দ করেছেন অমিত শাহ: অধীর চৌধুরী
Next articleঅমিত শাহের চিঠির কড়া জবাব দিলেন সাংসদ ডেরেক ও ব্রায়েন