Monday, August 25, 2025

করোনামুক্ত ! মাত্র ১৫ দিনের মধ্যেই বদলে গেল ত্রিপুরার দাবি

Date:

Share post:

এপ্রিল মাসের ২৩ তারিখ ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেব নিজের রাজ্যকে করোনামুক্ত বলে ঘোষণা করেছিলেন। তারপর মাত্র ১৫ দিনের মধ্যেই বদলে গেল ত্রিপুরার চেহারা। এই ক’দিনের ব্যবধানে ত্রিপুরা আজ করোনা মুক্ত থেকে উত্তর-পূর্ব ভারতের সবথেকে বেশি করোনা সংক্রামিত রাজ্যে পরিণত হল।
প্রথম দফায় ত্রিপুরাতে মোট দুজনের শরীরে করোনা সংক্রমণ ধরা পড়ে। এরপর ওই দুজন সংক্রামিত ব্যক্তি সুস্থ হয়ে বাড়ি ফেরেন। রাজ্যজুড়ে বইতে থাকে খুশির হাওয়া। মুখ্যমন্ত্রী ট্যুইটার হ্যান্ডেলে জানান, “ত্রিপুরা এখন করোনামুক্ত রাজ্য। দ্বিতীয় কেস ধরা পড়ার পরও আমরা করোনামুক্ত হতে পেরেছি। প্রথমজন আগেই সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন আর দ্বিতীয়জন বর্তমানে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরলেন।”
কিন্তু এরপর এই মুখ্যমন্ত্রীই মে মাসের ৬ তারিখে জানালেন, রাজ্যে নতুন করে ২২ জনের শরীরে ধরা পড়েছে করোনা সংক্রমণ। তিনি ট্যুইটার হ্যান্ডেলে লেখেন, “নতুন করে করোনায় সংক্রামিত ২২ জনের মধ্যে ১৮ জন পুরুষ, একজন মহিলা ও ৩ জন শিশু রয়েছে। শনাক্তদের বেশিরভাগ ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) সদস্য। জানা গিয়েছে, করোনা সংক্রামিতদের ১৮ জন পুরুষই ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) ১৩৮ নম্বর ব্যাটালিয়নের জওয়ান। মহিলা ও শিশুরা এই জওয়ানদের পরিবারের সদস্য।”
ত্রিপুরার ধলাই জেলার ১৩৮ নম্বর বিএসএফ ব্যাটালিয়নের প্রধান কার্যালয়ে এই সংক্রামিতরা কর্মরত ছিলেন। গত শনিবার এই ব্যাটেলিয়নের দুজনের শরীরে করোনা সংক্রমণ ধরা পড়ে। ঠিক তার পরদিনই আরো ১২ জনের শরীরে ধরা পড়ে করোনা সংক্রমণ। তারপর মঙ্গলবার আরও ১৩ জনের শরীরে ধরা পড়ে করোনা। রাজ্যে এখন মোট ৬২ জন করোনা সংক্রামিত, যাদের মধ্যে ৫৫ জনই বিএসএফ জওয়ান।

spot_img

Related articles

গাজায় সাংবাদিকসহ ১৯ জনের মৃত্যু! নীরব নেতানিয়াহু

দুর্ভিক্ষপীড়িত গাজায় ফের রক্তক্ষয়ী হামলা চালাল ইজরায়েলি সেনা। সোমবার দুপুরে গাজার খান ইউনিসের নাসের হাসপাতালে একাধিক ক্ষেপণাস্ত্র ও...

শ্রমশ্রী প্রকল্পে ভুয়ো আবেদন রুখতে কড়া নজরদারি রাজ্যের 

ঘরে ফেরা পরিযায়ী শ্রমিকদের জন্য ঘোষিত শ্রমশ্রী প্রকল্পে প্রকৃত ও যোগ্য প্রার্থীরাই সুযোগ পান, তা নিশ্চিত করতে বিশেষ...

আদিবাসী উন্নয়ন আরও সুদূর প্রসারি করার বার্তা মুখ্যমন্ত্রীর, সৌজন্য উড়িয়ে বৈঠকে অনুপস্থিত বিজেপি

আদিবাসী উন্নয়ন নয়, রাজনীতিই যে তাদের লক্ষ্য তা আরও একবার প্রমাণ করল বিজেপি (BJP)। আমন্ত্রণ পেয়েও সৌজন্যের জবাব...

DHFC-র হারের পরই ক্লাব থেকে কর্তাদের ছোট করার চেষ্টা, জবাব দিলেন মানস

ডুরান্ড কাপের(Durand Cup) ফাইনালে পৌঁছে সকলকে চমকে দিয়েছিল ডায়মন্ডহারবার এফসি(DHFC)। বাংলার ফুটবলকে যে দল নতুন স্বপ্ন দেখাচ্ছে, তাদের...