‘দিদিকে বলো’য় ফোন, আসানসোলের অদ্রিজার জীবনের চাকা ঘুরে গেল

দিদিকে বলোয় ফোন। আর সুরাহা প্রায় সঙ্গে সঙ্গে। আসানসোলের অদ্রিজা বলছেন, আমি চির কৃতজ্ঞ থাকব মুখ্যমন্ত্রীর কাছে।

দশম শ্রেণির অদ্রিজা মেয়েদের অনূর্দ্ধ ১৭ দলের গোলকিপার। কিন্তু নুন আনতে পান্তা ফুরোয় তার পরিবারের। পুষ্টির খাবার মোটেও জোটে না। বাবা ঠিকদারের অধীনে অল্প বেতনের চাকুরে। তিন মেয়ে। তিনি বার্নপুরে থাকেন দুই মেয়েকে নিয়ে। আর অদ্রিজা থাকে রূপনারায়ণপুরে। দিদিমার সঙ্গে। পরিবারের অবস্থার কারণে ভাল খাবার জুটত না। তাই “দিদিকে বলো”তে সোজা ফোন করেছিল অদ্রিজা। আশ্বাস দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু মোটেও ভাবতেই পারেনি তারা। মুখ্যমন্ত্রী নির্দেশ দিয়েছিলেন ক্রীড়ামন্ত্রী অরূপ বিশ্বাসকে। অরূপ নির্দেশ দেন আসানসোলের মেয়র জিতেন্দ্র তেওয়ারিকে। মেয়র রূপনারায়ণপুরে গিয়ে অদ্রিজার সঙ্গে দেখা করে সাহায্য তুলে দেন। ভবিষ্যতে সাহায্যের কথাও জানান।

ইতিমধ্যে অদ্রিজা গোয়ায় জাতীয় দলের প্রশিক্ষণ শিবিরে যোগ দিয়ে ফিরেছে। দশম শ্রেণির পড়ুয়া বলছে, খেলার জন্য যে পুষ্টিকর খাবার দরকার ছিল তা পেতাম না। মুখ্যমন্ত্রী সাহায্য করছেন। আমি কৃতজ্ঞ।

Previous articleবাড়ি ফেরার টান: ট্রেনের পরে ট্রাক দুর্ঘটনায় মৃত্যু পরিযায়ী শ্রমিকদের
Next articleট্রপিক্যালে ফের করোনা আক্রান্তের হদিশ, কোয়ারেন্টাইনে ৪০ জন স্বাস্থ্য কর্মী