লকডাউন: জলে গেল বিয়ের মরশুম, মাথায় হাত ডেকোরেটরদের

লকডাউন- দেশে শুধু নয়, সারা বিশ্বের অর্থনীতিতে প্রভাব ফেলেছে। কত ক্ষেত্রে যে লোকসান হয়েছে তা হয়তো এখনই একবারে হিসেব করা সম্ভব নয়। বাংলায় বৈশাখ, জ্যৈষ্ঠ, আষাঢ়, শ্রাবণ- এই চারটে মাস বিয়ের মাস বলে পরিচিত। অনেকেই সাতপাকে বাঁধা পড়েন এই সময়। আর সেই অনুষ্ঠান ঘিরে জীবিকা নির্বাহ হয় প্রচুর মানুষের। তাঁদের মধ্যে অন্যতম ডেকোরেটার্স। বিয়ে বাড়ির সাজসজ্জা হোক বা ভুরিভোজ- সবেতেই ডাক পড়ে তাঁদের। বহু মানুষ বিভিন্নভাবে যুক্ত এই পেশায়। অথচ বৈশাখ শেষ, জ্যৈষ্ঠও প্রায় লকডাউনের কবলে। আষাঢ়, শ্রাবণ কী হবে জানা নেই। এই পরিস্থিতিতে মাথায় হাত ডেকোরেটর এবং এই পেশায় যুক্ত অন্যান্যদের।

বিয়ে, অন্নপ্রাশন থেকে পৈতে থেকে সব সামাজিক অনুষ্ঠানের সময় এটি। সামাজিক দূরত্ব রক্ষা করতে গিয়ে সব সমাজিক অনুষ্ঠানই বাতিল হয়েছে আগামী শ্রাবণ মাস পর্যন্ত। পুজোতেও আদৌ কিছু হবে কি না তা অনিশ্চিত। ফলে এই মরসুমে যা কিছু রোজগার হওয়ার ছিল তাতে জল ঢালা সম্পূর্ণ। এবার চলবে কীভাবে?
যে শ্রমিকরা প্যান্ডেল তৈরি করেন, যে রাঁধুনিরা রান্না করেন, খাবার টেবিলে যে ছেলে-মেয়েরা খাবার পৌঁছে দেন তাঁদের কী হবে? একজন বড় ব্যবসায়ী হয়ত তাঁর সঞ্চয় ভাঙিয়ে কিছুদিন গুজরান করবেন। কিন্তু এই দৈনিক মজুরিতে কাজ করা মানুষদের জন্য কোনও প্যাকেজ কী ঘোষণা করবে সরকার? এই অসংগঠিত শ্রমজীবী মানুষ তো একশো দিনের কাজেও সুযোগ পাবেন না। তাহলে কি এই পুরো মরসুমটা ত্রাণ-সাহায্য আর বিনামূল্যের রেশনের ওপর ভরসা করেই থাকতে হবে? এখন এই চিন্তাতেই অস্থির এই পেশায় যুক্তরা।

Previous articleকমিউনিটি কিচেনের মাধ্যমে খাবারের ব্যবস্থা বাম ছাত্র-যুবদের
Next articleচারদিকে এত কমিউনিটি কিচেন! তাহলে এতো লোক সর্বহারা?