৮ মে ঘূর্ণিঝড় নিয়ে রাজ্যকে সতর্ক করে চিঠি দিয়েছিল কেন্দ্র, দাবি দিলীপের

প্রতি বছরই এই সময় বড় ধরণের একটি ঘূর্ণিঝড় আসে। যেমন ২০০৯ সালে ২৫মে আয়লা তাণ্ডব দেখিয়েছিল। তারই আগাম সতর্কতা হিসেবে, কেন্দ্রীয় সরকার গত ৮ মে পশ্চিমবঙ্গ সরকারকে সর্তক করে একটি চিঠি দেয়। এবং সেখানে তারা উল্লেখ্য করে রাজ্যকে বলে, ১৫ মে’র মধ্যে চিঠির জবাব দিতে। কেন্দ্র সরকার রাজ্যের রিলিফ অফিসারকে এই চিঠি দিয়েছিল। তাঁর কাছে ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় কতটা প্রস্তুত রাজ্য, তার একটা রিপোর্ট তৈরি করতে বলা হয়েছিল। খাদ্যসামগ্রী, পর্যাপ্ত ওষুধ ও বৈদ্যুতিক ব্যবস্থা ,কন্ট্রোল রুমের ব্যবস্থা, পানীয় জল নিয়ে কী ব্যবস্থা নিয়েছে। একইসঙ্গে ত্রাণ শিবির নিয়ে কী ব্যবস্থা আছে সেটাও জানতে চাওয়া হয়েছিল চিঠিতে। রাজ্য সরকার আদৌ সেই চিঠির উত্তর দিয়েছিল কিনা জানা নেই। আজ, মঙ্গলবার সল্টলেকে নিজের বাসভবনে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে এমনটাই জানালেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ।

বিজেপিও রাজ্য সভাপতির আরও দাবি, সুপার সাইক্লোন আমফান বিপর্যয় মোকাবিলায় উদ্ধারকার্যের জন্য কেন্দ্র ১৭টি দল পাঠিয়েছে। তার মধ্যে ৭টি দল রাজ্যে এসেছে। এই দলের মধ্যে একটি আবার গঙ্গাসাগরে গিয়েছে। রাজ্যের তরফে সতর্কতার প্রচার হচ্ছে ভালো কথা, কিন্তু উপকূলবর্তী এলাকাগুলো থেকে মানুষজনকে সরিয়ে আনা হয়েছে কিনা জানা নেই।

তিনি বলেন, “ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় ভারতীয় জনতা পার্টি সরকারের সঙ্গে আছে। ইতিমধ্যেই আমরা রাজ্যজুড়ে পার্টি কর্মীদের সতর্ক থাকতে বলেছি। মানুষকে সতর্ক করতে বলেছি। আমার হেল্পলাইন নম্বরও চালু করেছি”।

২০ মে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে কেন্দ্র বৈঠক করবে রাজ্যের সঙ্গে, সেকথাও এদিন উল্লেখ করেন দিলীপ ঘোষ।

Previous articleআমফানের জেরে কী হবে টালা ট্যাঙ্কের?
Next articleআমফান মোকাবিলায় রাজ্যবাসীর পাশে থাকার বার্তা দিয়ে হেল্পলাইন ঘোষণা বিজেপির