একদিকে তাড়া করে বেড়াচ্ছে টানা দু’মাসের লকডাউন।সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল ২১ মে থেকে সব দোকান ধীরে ধীরে খুলবে। কিন্তু নতুন করে ঘুরে দাঁড়ানোর স্বপ্ন ভেঙে চুরমার হয়ে গিয়েছে কলেজ স্ট্রিট বইপাড়ার।
আমফানের প্রবল ঝড়বৃষ্টিতে ভেসে গেল বইপাড়া।
পরিস্থিতি এতটাই ঘোরালো হয়ে উঠেছিল যে পা রাখার জায়গা মেলেনি। থইথই জলে ভেসেছে অসংখ্য বই। যাঁদের গুমটি দোকান, তাঁদের তো যা সর্বনাশ হওয়ার হয়েছে। যাঁদের বাঁধানো পাকা ঘর, রেহাই মেলেনি তাঁদেরও।
দোকান ঘর থেকে বই ভাসতে ভাসতে বেরিয়ে এসেছে রাস্তায়। তবে একতলা বা দোতালার উপর যাঁদের প্রকাশনা সংস্থা, তাঁরা এ যাত্রায় রেহাই পেয়েছেন।
ব্যবসায়ীদের আক্ষেপ, “যা আছে, অধিকাংশই রাস্তায়। নতুন বাঁধাই করা বই তো বটেই, নষ্ট হয়েছে একের পর এক ফর্মা। একবার জল লাগলে তো সেসব আর বাঁচানো যাবে না। এই ক্ষতির পরিমাণ কয়েক লক্ষ টাকার বেশি । দুর্যোগ কেটে গেলে তখন আসল হিসাব করা সম্ভব । এখন ক্ষতি দেখা আর বসে অপেক্ষা করা ছাড়া কিছুই করার নেই।”