সোশ্যাল মিডিয়ায় পপুলার হতে গিয়ে এবার প্রশাসনের নজরে পড়লেন বাংলাদেশের গায়ক মইনুল হাসান নোবেল। কখনও নিজের অহংকারী মনোভাবের প্রচার, আবার কখনও ফেসবুকে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে অশালীন ভাষায় আক্রমণ- এইসব করে সোশ্যাল মিডিয়ায় চর্চায় থাকতে চেয়েছিলেন সারেগামাপা ২০১৯-এর সেকেন্ড রানার্সআপ নোবেল। আর সেই কারণে তাঁকে বাংলাদেশের র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ান বা ব়্যাবের জিজ্ঞাসাবাদের সম্মুখীন হতে হল।

সূত্রের খবর, নোবেলকে র্যাব ২-র কার্যালয়ে ডেকে জিজ্ঞাসা করা হয় কেন তিনি সোশ্যাল মিডিয়ায় এসব পোস্ট করেছেন? উত্তরে নোবেল জানান, এই সবই আসলে তাঁর একটি গানের ‘মার্কেটিং পলিসি’। র্যাবের আধিকারিক মনির জামান জানান, নোবেলের ফেসবুক পেজ Noble Man-এ সম্প্রতি তিনি যা লিখেছেন, তা আসলে গায়কের নতুন গান ‘তামাশা’-র প্রোমোশনের জন্য। কারও ভাবাবেগে আঘাত করা তাঁর উদ্দেশ্য ছিল না বলে ব়্যাবকে জানান নোবেল।
ব়্যাবের পাশাপাশি নোবেলের উপর কিছু দিন ধরে নজর রাখছিল বাংলাদেশ পুলিশের কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিটও।
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির প্রতি অশালীন মন্তব্য করার জন্য নিজের ফেসবুক পেজে আগেই ক্ষমা চেয়েছেন নোবেল। এ দিন র্যাব-এর পক্ষ থেকে যে তাঁকে ডেকে পাঠানো হয়েছিল, সে বিষয়েও ফেসবুক পেজে পোস্ট করেছেন তিনি। তবে, নোবেলের যুক্তি মানতে নারাজ অনেকেই। তাঁদের মতে, এটা মার্কেটিং পলিসি নয়। এই ধরনের কথা বলাই নোবেলের স্বভাব। প্রশাসনের নজরে পড়ার পর নোবেল নিজেকে বদলান কিনা সেটাই দেখার।

