ফুটবল বদলে দিয়েছে তার জীবন । তিনি ময়দানের বাজপাখি মোহনবাগান গোলকিপার শিল্টন পাল। ভাল-মন্দ সব পরিস্থিতিতেই অনুরাগীদের পাশে পেয়েছেন । এবার তাঁদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানানোর সুযোগ পেয়েছেন । আর তাই আমফান বিধ্বস্ত সুন্দরবনের পাশে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নিলেন তিনি ।
দ্রুত আমফান বিধ্বস্ত মানুষগুলির জন্য খাবারের ব্যবস্থা করতে চলেছেন শিল্টন। নিজেই জানিয়েছেন, সুন্দরবনের নামখানায় ত্রাণ সামগ্রী পৌঁছে দেওয়ার কথা।এ জন্য স্থানীয় প্রসাশনের সাহায্য চান তিনি ।
আসলে করোনায় মানুষের মাথা গোঁজার ঠাঁই থাকলেও অভাব খাবারের। এবার দুটোই কেড়ে নিয়েছে আমফান। ঘর আর খাবার কিছুই নেই। এমন পরিস্থিতিতে সেই মানুষগুলিকে দ্রুত সাহায্য করতে চান শিল্টন।
তিনি জানিয়েছেন , “আমরা কয়েকজন মিলে নামখানায় গিয়ে সর্বহারা মানুষের হাতে খাবার ও নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিস তুলে দিয়ে আসব। পরবর্তী ধাপে মেডিক্যাল ক্যাম্প করতে চাই। মানুষ যাতে চিকিৎসা না পেয়ে ঘোরতর বিপদে না পড়েন, সেই জন্যই এই উদ্যোগ ।
কয়েকদিন আগে মেহতাব হোসেন, সুব্রত পাল, অভিজিৎ মণ্ডল, অভ্র মণ্ডল, ডেনসন, দেবাদাসরা করোনা মোকাবিলায় একজোট হয়েছিলেন। নিজেদের উদ্যোগে বিধাননগর পুলিশ কমিশনারেটে পৌঁছে পুলিশ কর্মীদের হাতে হোমিওপ্যাথি ওষুধ ‘আর্সেনিকাম অ্যালবাম থার্টি’ তুলে দিয়েছিলেন। এবার সুপার সাইক্লোন আমফানের দাপটে বিপর্যস্ত সুন্দরবনের দিকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিলেন শিল্টন।
এদিকে, আমফান ও করোনায় বিধ্বস্ত সাধারণের পাশে দাঁড়াল মোহনবাগান ফ্যানস ক্লাবও। বিরাটি ফ্যানস ক্লাবের সদস্যরা দুস্থ-গরীব পরিবারগুলির হাতে ত্রাণ সামগ্রী তুলে দেন। পাশাপাশি রক্তদান শিবিরের আয়োজন করেন ক্লাব কর্মসমিতির সদস্য সোমেশ্বর বাগুই। ৪০ জন রক্তদান করেন সেখানে। সেখানেও উপস্থিত ছিলেন গোলকিপার শিল্টন সহ আরও অনেক বিশিষ্টরা ।
