‘আনন্দবাজার’-এ সরব রাজ্যপাল তাঁর উদ্বোধন করা চ্যানেলের অনিয়মিত বেতনে নিশ্চুপ কেন?

ট্যুইট করতে করতে ট্যুইটের নেশা পেয়ে বসেছে পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়কে। রাজ্য সরকারকে কটাক্ষ করে বাড়তি হাততালি পাওয়ার চেষ্টায় এবার রাজ্যপালের চেয়ারের মর্যাদা রাখতে পারলেন না বলে অভিযোগ। আনন্দবাজারের সম্পাদক অনির্বাণ চট্টোপাধ্যায়কে হেয়ার স্ট্রিট থানায় তলব করা নিয়ে আগেই তিনি ট্যুইট করেছিলেন। এবার তাঁর পদত্যাগ নিয়ে ট্যুইট। লিখছেন, “আমজনতার কথা তুলে ধরা সংবাদ মাধ্যমের কর্তব্য। আর এ রাজ্যে বোধহয় সেই সুযোগটাও গেল। আনন্দবাজারের সম্পাদক অনির্বাণ চট্টোপাধ্যায়ের পদত্যাগ মিডিয়ার স্বাধীনতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে দিল। এই ঘটনা আসলে প্রগতিশীল সমাজের গায়ে অন্ধকারের প্রলেপ। আর দুঃখের বিষয় বেশিরভাগ মানুষ বিষয়টি নিয়ে নিশ্চুপ, যা গণতন্ত্রের সমাধি তৈরির রাস্তা দেখাচ্ছে। যাঁরা গণতন্ত্রের পূজারী তাঁরা স্বাধীন সংবাদ মাধ্যমের স্বপ্ন দেখেন। এই সময়ে আমি সকলকে জেগে উঠতে আহ্বান জানাচ্ছি।” রাজ্যপালের টার্গেট নিশ্চিতভাবে রাজ্য সরকার। আনন্দবাজারের পদত্যাগী সম্পাদককে একটি ভুল তথ্য পরিবেশনের অভিযোগে থানায় ডাকা হয়। কিন্তু অসুস্থতার কারণ দেখানোর পর তাঁকে দ্বিতীয়বার ডাকা হয়নি। তা সত্ত্বেও সে নিয়ে মিডিয়ায় চর্চা অব্যাহত। আর সেটিকে হাতিয়ার করে রাজ্যপাল এই ইস্যুকেও কাজে লাগাতে বদ্ধপরিকর। যদিও পদত্যাগী সম্পাদকের সহকর্মী স্বাতী ভট্টাচার্য সমস্ত বিতর্কের সমাধান করে লেখেন, অনির্বাণের দায়িত্ব ছাড়ার কথা ছিল আগেই। পরিস্থিতির কারণে পারেননি। এক্সটেনশান দিয়ে তাঁকে রাখা হয়েছিল। অবসরের পরেও তিনি আনন্দবাজারে নিয়মিত কলম লিখবেন, কথা দিয়েছেন। আসলে লেখার জন্য সময় বের করতেই তিনি পদত্যাগ করেছেন। রাজ্যপাল অন্দরের কথা না জেনে কার কথায় এই বিষয়ে মাথা গলাচ্ছেন, তা তিনিই বলতে পারবেন। তবে অনেকেই রাজ্যপালের ফুট নোট কাটায় বিরক্ত হয়ে বলেছেন, এতই যদি।তিনি সততার প্রতীক হন, তাহলে তাঁর উদ্বোধন করা চ্যানেলের অনিয়মিত বেতন নিয়ে কেন একটিও বাক্যও কোনওদিন কোথাও লেখেন না বা ট্যুইট করেন না! আসলে তিনি কাদের পারপাস সার্ভ করতেন নেমেছেন, নিজেই তা স্পষ্ট করে দিচ্ছেন।

Previous articleকরোনা আবহেই অনুশীলন শুরু করল অস্ট্রেলিয়া, ইংল্যান্ড ও শ্রীলঙ্কা
Next articleব্রেকফাস্ট নিউজ